ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

টেস্ট ব্যর্থতার দায় টিম ম্যানেজমেন্টের: সুজন

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের একের পর এক ব্যর্থতার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে দুষলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রশ্ন তুললেন এইচপির কার্যক্রম নিয়ে।একইসঙ্গে জাতীয় দলে লেগস্পিনার সংকটের জন্য দায়ী করলেন ঘরোয়া ক্লাবগুলোকে।

ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে দুই যুগ পার হয়ে গেল অথচ এখনো টেস্ট খেলাটা ঠিকঠাক আত্মস্থ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠেই নগ্নরূপ ফুটে ওঠে আরও একবার। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে চর্চার অভাব যেমন আছে তেমনি এ নিয়ে নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপেও ভুল আছে, মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'লাল বলের চর্চা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমাদের বিপিএল এবং ডিপিএলের মাঝে শ্রীলঙ্কার সাথে টেস্ট সিরিজ খেলা হয়েছে। যেখানে লাল বলের প্রস্তুতি ছাড়া খেলা হচ্ছে সেখানে সিরিজ হারবে এইটাই স্বাভাবিক।'

সংকট আরও আছে। প্রতিভার ঘাটতি যেমন আছে তেমনি তাদের যত্নেরও অভাব আছে। পাইপলাইনে যোগ্য ক্রিকেটারের অভাব অথচ বয়স পর্যায় থেকে উঠে আসে পুরো একটা দল। মাঝে এসব ক্রিকেটাররা কোথায় হারিয়ে যায়? হাইপারফরম্যান্স ইউনিট এদের নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার কথা থাকলেও, সেটি যে প্রশ্নবিদ্ধ তা জানিয়ে দিলেন খালেদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, 'আমাদের খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত।'

গেল কয়েকবছর ধরে হন্যে হয়ে একজন লেগস্পিনার খুঁজছে বাংলাদেশ। অথচ রিশাদ হোসেনই বা কতটুকু সম্মান পান? ঘরোয়া ক্লাবগুলোর অনাগ্রহ প্রতিভা খুঁজে বের করার অন্তরায় অভিযোগ সুজনের।

তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ অন্যান্য ক্লাব ক্রিকেটের কথা বলি তারা আসলে লেগস্পিনার খেলাতে চায় না। লেগস্পিনারে একটা বলে ৬ হলে এইটা তার মানতে পারে না।'

তবে এবার উদ্যোগী হয়েছে বিসিবি। সারাদেশ থেকে ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছে ৮০ জন লেগস্পিনারকে। ২ ও ৩ মে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০ জন লেগস্পিনারকে নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিসিবি। সুযোগ পেলে এদেরকে টোটকা দিতে পারেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি মোশতাক আহমেদ।

ইএ