তীব্র তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ নগর থেকে গ্রাম। তাই সতেজতা হারিয়ে রুগ্ন বাজারের সবজিও। রোদের গনগনে আঁচে সবজির বাজারে পড়েছে প্রভাব। গরমে দীর্ঘ সময়ে পণ্য পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে সবজি। বাজারে কমেছে সবরবাহ।
চট্টগ্রামের ষোলশহর কর্ণফুলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। পাইকারি বাজার থেকে ৫০ কেজি শসার বস্তা কিনে দেখেন ২০ কেজি বেচার অনুপযুক্ত। যাতে হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে।
তিনি বলেন, 'শসা উত্তরবঙ্গ থেকে আসে। শসা এনেছিলাম এখন বস্তা খুলে দেখি শসা পেকে গিয়েছে। এতে আমার ২ হাজার টাকার মতো লোকসান হয়েছে।'
গরমে পচে যাচ্ছে সবজি। কুকড়ে যাচ্ছে শাক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নষ্ট হওয়া সবজি ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে তৈরি হয়েছে সরবরাহ সংকট বেড়েছে দাম। এদিকে পচে যাচ্ছে মাছ আর মারা যাচ্ছে মুরগিও।
বিক্রেতা একজন বলেন, 'গরমের কারণে সব কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ২০ কেজি সবজি আনলে ৪ কেজি ফেলে দিতে হয়।'
আরেকজন বলেন, 'মুরগি মারা যাওয়ার ভয়ে দোকানে কম মুরগি রাখা হচ্ছে।'
এদিকে সৈয়দপুরে গেল কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রিতে। যার উত্তাপ ছড়িয়েছে কাঁচা বাজারে। গরমে সবজি নষ্ট হওয়ায় কমেছে সরবরাহ। যাতে বাজার হয়ে উঠেছে অস্থির। প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২৫ টাকা। সব থেকে বেশি বেড়েছে লেবু ও শসার দাম।
সস্তি নেই ফলের বাজারেও। রাজশাহীর নষ্ট হওয়ার তালিকায় সব থেকে এগিয়ে আমদানি করা আঙ্গুর আর আপেল। কাপড় দিয়ে ঢেকে আর পানি ছিটিয়ে সতেজ রাখার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। এতে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে মাল্টার দাম। আর কেজিতে ৩৫ টাকা টাকা বেড়ে আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকট ও চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দাম।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, 'গরমে আপেল শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদের তাপে কিছু ভালো থাকছে না। যে ফল পাঁচ দিন ভালো থাকার কথা তা দুইদিনও ভালো থাকছে না।'
ফল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বছরে শুধু রাজশাহী অঞ্চলে নষ্ট হয় ২০ থেকে ৪৫ শতাংশ ফল। যার বাজারমূল্যে ৬ থেকে ৮ কোটি টাকা।