দাম কমেছে সবজির, ডিম-মুরগি-মসলায় ঊর্ধ্বগতি

বাজারের চিত্র
বাজারের চিত্র | ছবি: এখন টিভি
0

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমজমাট রাজধানীর বাজার। ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই মিলছে বেশিরভাগ সবজি। দুই থেকে পাঁচ টাকা কমে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল। তবে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়তি মসলার দর। বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম।

বাজারে থরে থরে সাজানো সবুজ সবজি। কৃষকের হাত পেরিয়ে নগরে মিলছে তাজা করলা, পটোল, বেগুন, শসা-টমেটো।

৪০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যেই মিলছে বেশিরভাগ সবজি। তবে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, গাজর, বরবটি, কাঁকরোল।

ক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টি বা বেশি ঝড় না হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে, ভরা মৌসুমে কিছুটা কমেছে দর।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সবজির দাম কম আছে, মাশাআল্লাহ। দাম প্রচুর কম কারণ ৮০ টাকার ঢেঁড়স আমি এখন ৪০ টাকায় নিচ্ছি। মোটামুটি সবজির বাজারে সবগুলোরই দাম কম আছে।’

এদিকে বাজারে সব ধরনের চালের সরবরাহ বেড়েছে। দুই থেকে পাঁচ টাকা কমে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায়, নাজিরশাইল ৯০, আটাশ ৫৮ থেকে ৬২ আর স্বর্ণা পাওয়া যাচ্ছে ৫৬ টাকায়।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কেজিপ্রতি প্রায় আট থেকে দশ টাকা কমছে। এখন ভালোমানের মিনিকেটগুলো বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকার মধ্যে। এছাড়া আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।’

ভিন্ন চিত্র ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দোকানে। ডিম হালি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। সোনালি, কর্ক, দেশি মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সোনালি ২৬০, ব্রয়লার ১৭০, লাল মুরগি ৩১০ টাকা।’

ঈদুল আজহার বাকি অল্প কয়েকদিন। এরই মধ্যে উত্তাপ মসলাজাতীয় পণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। হলুদ কিনতে খরচ হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪২০ টাকা। এলাচের কেজি ঠেকেছে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল পাঁচ হাজার টাকা।

দারুচিনি ৫২০ কিসমিস ৭০০ গোলমরিচ ১৪৫০, জিরা-৬৫০ ভোজ্য তেল লিটারপ্রতি ১৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। এ ছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫২ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে মসলার দাম বাড়িয়েছে সিন্ডিকেট বা আমদানিকারকরা।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দর।

এসএস