দেশে এখন
0

প্রভাব খাটিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার অভিযোগ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে প্রায় ৩ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণকাজে প্রায় ৩৯ লাখ টাকার মাটি বরাদ্দ থাকলেও কাটা হচ্ছে কৃষকের তিন ফসলি জমি। নিয়ম বহিভূর্তভাবে মাটিকাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা পোদ্দারবাড়ী থেকে মহিষাখোলা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এখানকার প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে পান ঠিকাদার মোহাম্মদ হানিফ।

২ কোটি ৯৮ লাখ ৯১২ টাকা ব্যয়ের সড়কটিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দরপত্রে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার নিয়মবহির্ভূতভাবে জোর করে নিরীহ কৃষকদের জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন।

ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা কৃষকরা বাঁধা দিলেই তাদের দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি। এরই মধ্যে প্রভাবশালী এ ঠিকাদারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থানীয় শতাধিক পরিবার। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের দাবি, সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় মাটি দিচ্ছেন।

হরিরামপুরে এই সড়ক নির্মাণে শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ছবি: এখন টিভি

কৃষক বলেন, আমরা হানিফ ভাইকে অনেক অনুরোধ করছি জায়গা না কাটার জন্য। তবুও উনি জোর করে মাটি কাটছে। আমাদের নিজস্ব ফসলি জমি কেটে নিয়ে গেছে, কোন বাধা মানে নাই। উল্টা নিরীহ পেয়ে হুমকি-ধামকি দেয়। যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হইছে এর কোনো ক্ষতিপূরণ দেয় নাই।

অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. হানিফ বলেন, 'তারা (কৃষক) আমাদেরকে ইচ্ছা করেই মাটি দিতেছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ লোক স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিচ্ছে। যখন বালি ফেলবো তখন আমরা জমি ভরাট দিবো।'

এদিকে সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, 'আমরা এই রাস্তার নথি পর্যালোচনা করবো। যদি কোন ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'

ক্ষতিপূরণসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

এভিএস