দেশে এখন
0

গরমে নগরবাসীর কষ্ট বাড়িয়েছে সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি

তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরবাসীর জনজীবন। এই কষ্ট আরও বাড়িয়েছে সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি। কারণ হয়ে উঠেছে যানজট বৃদ্ধির। এতে গরমে যোগ হচ্ছে বাড়তি অস্বস্তি।

দুপুর হলেই যেন আগুনের ফুলকি বইতে শুরু করে নগরজুড়ে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাই অনেকেই বের হচ্ছেন না ঘর থেকে।

একজন রিক্সাচালক বলেন, 'গরমে শরীর দূর্বল লাগে। রাস্তাঘাটে যানজটের জন্য খ্যাপ মেরে কুলানো যায় না। একটা খ্যাপ মারলে আধাঘণ্টা রেস্ট নিতে হয়। আগে যেখানে এক লিটার পানি খাইতাম সেখানে এখন ছয় লিটার পানি খাওয়া হচ্ছে।'

তবুও কাজের দরকারে যারা রাস্তায় বের হন, তাদের গরমের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয় সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি। উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে কোথাও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করতে রাস্তা খুড়ছে সিটি করপোরেশন, আবার কোথাও স্যুয়ারেজ লাইন ঠিক করতে ঢাকা ওয়াসা কাটছে সড়ক। কোথাও আবার বিদ্যুতের লাইন ও ইন্টারনেট ক্যাবল মাটির নিচে নিতে রাস্তা খুড়ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের জন্য বছরের বেশিরভাগ সময় সড়কে চলে খোঁড়াখুঁড়ি। আর ভাঙাচোরা এসব সড়কের ধুলাবালিতে দুর্ভোগ বাড়ছে নগরবাসীর।

একজন পথচারী বলেন, 'রাস্তা কেটে এই কাজ করতে গিয়ে রাস্তার দুইপাশেই একসাথে কাটার জন্য গাড়ির আসা যাওয়া সমস্যা হয়ে গেছে। এতে আমাদের আসা-যাওয়ায় অনেক কষ্ট হচ্ছে।'

সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় এই কাটাকাটি বা খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজুড়ে বাড়ছে যানজটও। কারণ ছোটবড় গর্ত এড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম গতিতেই চলতে হয় যানবাহনকে। গরমে তাই অস্বস্তি বাড়ছে নাগরিকদের যাত্রাপথে।

রাস্তায় সিটি করপোরেশনের কাজে করা গর্তে পড়েছে এক রিক্সা। ছবি: এখন টিভি

দুর্ভোগের কবলে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন নগরীর বহু মানুষ। এমনকি পথে চলতে গিয়ে আহত হচ্ছেন সাধারণ পথচারীও।

তীব্র গরমে এমন নানা ভোগন্তিতে যখন বিপর্যন্ত জনজীবন, তখনও একদিকে যেমন খোঁড়াখুঁড়ি থেকে স্বস্তি দেয়ার দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই, অন্যদিকে গরম কমার সুখবর নেই আবহাওয়া অফিসের কাছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, 'বিদ্যমান যে তাপপ্রবাহ আছে তা সামনের দিকে অব্যাহত থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির দ্বারা তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য হবে না। বিস্তীর্ণ এলাকায় যখন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হবে তখন তাপমাত্রা একটু কমতে পারে।'

বায়ু দূষণ রোধে এবং তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নগরের বিভিন্ন সড়কে দু'টি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর