ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা, বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট, টটেনহ্যামের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডসহ ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিটা অনেক ভারি। অথচ ট্রফি কেবিনেটটা একেবারেই শূন্য। প্রজন্মের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের খেতাব পেলেও, আজ পর্যন্ত কোন শিরোপা ছুঁয়ে দেখার স্বাদ পাননি ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন।
অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়। বাংলা প্রবাদটা যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইনের সঙ্গে। গেল মৌসুমে টটেনহ্যাম ছেড়ে পাড়ি জমান জার্মানির সবচেয়ে সফল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে। যারা টানা ১১ মৌসুম জিতেছে বুন্দেসলিগা। আক্ষরিক অর্থে তাদের নামের সঙ্গে ট্রফিটা যেন লেপ্টেই গিয়েছিল। অথচ হ্যারি কেইনের যোগ দেয়ার মৌসুমেই লেভারকুসেনের কাছে ট্রফিটা খোয়ালো বায়ার্ন।
তবে আসরে ঠিকই গোলবন্যা বইয়ে দিচ্ছেন এই ইংলিশ তারকা। এখন পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে করেছেন ৩৩টি গোল। বুন্দেসলিগায় তো বটেই, ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর সর্বোচ্চ গোলদাতাও কেইন। এর ফলে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়েও সবার শীর্ষেই আছেন তিনি।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরস্কারে নজর থাকে সবার। ফরোয়ার্ডরাও চান সোনায় মোড়ানো বুটটা জিতে নিজেদের পারফরম্যান্সের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ রাখতে। এই লড়াইয়ে কেইনের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন বর্তমান ফুটবল দুনিয়ার অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, লওতারো মার্তিনেজরা। তবে শীর্ষ পাঁচে বাকি দুটো নাম যে কারো ভ্রু কুঁচকে দেবে। স্টুটগার্টের গুইরাসি কিংবা লিপজিগের অপেন্দার নামটা হয়তো এই তালিকায় দেখে ভাবেননি অনেকেই।
বিস্ময়কর ব্যাপার আছে আরও একটি। গেল মৌসুমে গোল্ডেন বুট জেতা এর্লিং হ্যালান্ড এবার নেই তালিকার সেরা পাঁচে। লিগে সমান ২০টি করে গোল করে এই সিটি তারকার পাশে আছেন চেলসি তারকা কোল পালমারও।
আরেকটি অবাক করা তথ্য দিয়ে শেষ করা যাক। গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে সেরা দশেও নেই লা লিগার কোন ফুটবলারের নাম।