হঠাৎ দেখে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জীবন্ত হয়ে উঠেছে বলে মনে হলেও আদতে এটি ভারতের রাজধানী দিল্লির কাছেই গাজীপুরের একটি ময়লার ভাগাড়। দিনে এ ভাগাড়ে ময়লা ফেলা হয় প্রায় দুই হাজার টন।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ভাগাড়টিতে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পর সোমবার পর্যন্ত জ্বলেছে আগুন। দিনশেষে আগুন নিভলেও দূষিত বাতাসে দু'দিন ধরে শ্বাস নেয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পূর্ব দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে খননকারী যন্ত্র দিয়ে ময়লার স্তুপ সরানো হলেও ততক্ষণে বাতাসে মিশে গেছে বিষাক্ত ধোঁয়া।
আগুনে কারও প্রাণহানি না হলেও রাজধানীর অন্যতম পুরনো ও বিশাল ময়লার ভাগাড়টির কাছাকাছি এলাকার বিপুলসংখ্যক বাসিন্দা ভুগছেন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিলতায়।
দিল্লির বাসিন্দারা বলেন, আমাদের চোখ জ্বলছে। ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবস্থা এতো খারাপ যে বাচ্চাদের কান্নাই থামানো যাচ্ছে না।
নয়া দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় বলেন, 'পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ধোঁয়ার সমস্যাও ঠিক হয়ে যাবে। কয়েক ঘণ্টা সময় তো দিতেই হবে। ভয় পাওয়ার মতো কিছু হয়নি।'
দিল্লিবাসীর অভিযোগ এ ঘটনা নতুন নয়। নব্বইয়ের দশক থেকে চলছে এ সমস্যা। প্রায় প্রতি বছরই কয়েকবার আগুন লাগে গাজিপুরের ময়লার ভাগাড়ে, অতীতে এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে এ ধরনের ময়লার ভাগাড়গুলো একেকটি টাইম বোমা বলে সতর্ক করেছে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
উচ্চ মাত্রার দাহ্য ও বিষাক্ত মিথেন গ্যাস জমছে ভাগাড়গুলোতে। গেল বছর ডিসেম্বর নাগাদ গাজিপুর ময়লার ভাগাড় পরিষ্কারের আশ্বাস দিয়েও তা পূরণ করেনি বলে এ ঘটনায় দিল্লির আম আদমি সরকারকে দুষছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।