রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি বলেন, 'এছাড়া ঈদ পূর্ববর্তী অর্থাৎ ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনে সারাদেশে ১১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৭ জন নিহত ও ২০৬ জন আহত হয় অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৭টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২৯ জন আহত হয়। ঈদ পরবর্তী অর্থাৎ ১২ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনে সারাদেশে ১৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত ও ২৩৩ জন আহত হয় অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৭টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২৬ জন আহত হয়।'
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, 'ঈদকালীন অর্থাৎ ৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ২৫৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৫ জন নিহত ও ৪০৫ জন আহত হয়েছে। এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৮টি দুর্ঘটনায় ৭৩ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছেন।'
ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিভ্রান্তমূলক বলে মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান। এসময় তিনি বলেন, 'সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার জন্য বিআরটিএ সহ সকল স্টেক হোল্ডারের দায় আছে।'
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত এবং ১০৮ জন আহত হয়েছেন, রাজশাহী বিভাগে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন, খুলনা বিভাগে ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন, বরিশাল বিভাগে ২৫টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৪৭ জন আহত হয়েছেন, সিলেট বিভাগে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন, রংপুর বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়েছেন।