শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশের হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজব্রত পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো আরও কিভাবে সহজ করা যায়, কিভাবে হজযাত্রীদের আরেকটু বেশি কমফোর্ট দেওয়া যায়, সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘হজ হলো মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মহা-সম্মেলন। হজ একদিকে ফরজ ইবাদত, অন্যদিকে এই ইবাদতের সাথে মুসলমানদের বিশেষ আবেগ ও অনুভূতির মিশ্রণ রয়েছে। বিশেষ করে, হজের সাথে বায়তুল্লাহ বা কাবা শরীফের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’
হজ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা সকলেই যাতে সহীহ-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আপনাদের প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনোযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা, সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণ যতো ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবেন, আপনাদের দক্ষতা ততো বেশি শাণিত হবে। আর আত্মবিশ্বাস ততোটাই বৃদ্ধি পাবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফলতা ও উৎকর্ষতার প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। কোন কিছু না বুঝলে প্রশিক্ষক যারা থাকবেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। যতো বেশি প্রশ্ন করতে পারবেন ততো বেশি শিখতে ও জানতে পারবেন। নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।’
জানা যায়, চার দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩০ হাজার হজযাত্রী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ২৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজে যাচ্ছেন।