দেশে এখন
0

হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

মৌসুমের আগেই রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করার দাবি ভুক্তভোগীদের। দক্ষিণের মেয়র দাবি করলেন মশা নিয়ন্ত্রণে আছে।

ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসা পড়ুয়া ইমরান নামে এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ ছুটি শেষ হয়ে গেলেও জ্বর এখনও কাটেনি তার। সাধারণ জ্বর ভেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করায় হয়েছে কাল। এখন অভিভাবকদের চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ।

ইমরান বলেন, 'এই জায়গায় ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। ৫ দিনের ওধুধ দিছে, বলছে খাইলে ভালো হইয়া যাইবো। কিন্তু ৩ দিন খাওযার পর আরও খারাপ হইছে।'

বর্তমানে মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন ১০ জন। যার বেশিরভাগ রাজধানীর বাসিন্দা।

রোগীর স্বজনরা বলেন, ফার্মেসী থেকে ওষুধ এনে খাওয়াইলাম। কিন্তু জ্বর কমে না, পরে টেস্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ১০-১৫ দিন যাবত জ্বর। আমরা মানিক নগরে থাকি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় তীব্র মশার উপদ্রব। অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে প্রতিবছরই এখানকার বাসিন্দারা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে থাকেন। এবারও সেরকমই শঙ্কা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী সচেতন না হলে এবারের ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ছবি: এখন টিভি

তারা বলেন, হাটু সমান পানি হইয়া যায়। মশার যন্ত্রণায় এক মিনিট থাকার উপায় নাই। অবস্থা খুবই খারাপ। মশার ওষুধ ছিটানো একদিনও আমাদের চোখে পড়ে নাই।

৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামছুল হুদা কাজল বলেন, 'আমরা এখন পরিষ্কার আর ময়লা পানি দেখছি না। সব জায়গাতেই ওষুধ ছিটাচ্ছি। অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।'

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'ডায়রিয়া, পেট ব্যাথা, বমি অথবা কোন অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে ফার্মেসির ওষুধ না খেয়ে একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের কাছে আসুন। সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।'

মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল ভাবেই চলছে। তবে বিশেষ অভিযান মে মাস থেকে শুরু হবে বলে জানান দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরে যাদের বৃহৎ আবাসন রয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা মে মাস থেকে মতবিনিময় শুরু করবো। সেই এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা অভিযান করবো।'

চিকিৎসকদের দাবি গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এবার রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। তাই সিটি কর্পোরেশনকে সময় নষ্ট না করে দ্রুত মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ তাদের। আর স্থানীয় বাসিন্দারা সচেতন না হলে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।