কংক্রিটের শহর আর পিচগলা পথে ঘাম ঝরা মানুষ দেখলে সহজে অনুমেয় কতটা তপ্ত সূর্য। মুখ, গাল আর শরীর বেয়ে পড়া প্রতিটি বিন্দু জানান দিচ্ছে এ নগরী কতটা হাঁসফাঁস করছে গরমের তীব্রতায়।
ঈদের লম্বা ছুটির দিনগুলোতে সড়কে গাড়ি ছিল কম। কিন্তু অফিস খোলা ও নগরীর মানুষ ফিরতে শুরু করায় অনেকেই প্রয়োজনেই বের হয়েছেন সড়কে।
ট্রাফিক পুলিশের একজন বলেন, 'গরম আসলে কয়েকদিন ধরে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে।'
পথচারী বলেন, 'বাতাস মনে হচ্ছে আগুন থেকে আসতেছে। যেটা সহ্য করা যাচ্ছে না।'
হাঁটতে গিয়ে ক্লান্ত নগরবাসী তাই একটু দাঁড়ান শরবতের দোকানের সামনে। তাই শরবতের বেচাবিক্রিও বেশ। কিন্তু স্বাস্থ্যকর তো? তীব্র গরমে উল্টো প্রতিক্রিয়া হবে না তো?
আরেকজন বলেন, 'বাইরের খাবারে জীবাণু থাকতেই পারে। গরমে একটু প্রশান্তির জন্য বাহিরের শরবত খাওয়া হচ্ছে।'
শসা বিক্রেতা একজন বলেন, 'গরমের সময় শসা একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে। যেটা শীতের সময় কম বিক্রি হয়।'
ঢাকায় আজ বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা ৩৫.২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। আবহাওয়া অফিস দুঃসংবাদ দিয়ে বলছে আগামী ২০ তারিখের পর আরও বাড়বে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, 'আগামী ২০ এপ্রিলের পর থেকে আরও বেশি তাপপ্রবাহ শুরু হবে। ৮ বিভাগেই হয়তো এই তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।'
১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল বগুড়ার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। সেটিই ছিল এপ্রিল মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সেবছর এপ্রিলে টানা ২৫ দিন ছিল তাপপ্রবাহ।