মোগল আমলে পহেলা বৈশাখে জমিদাররা খাজনা সংগ্রহ করতেন। যারা খাজনা দিতে আসতেন, জমিদাররা তাদের মিষ্টি, পান ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করতেন।
নববর্ষে ঘিরে ইট-কাঠ-পাথরের এই শহরের রোজকার চাউমিন, মোমো, এগ রোল-চিকেন রোল বাদ দিয়ে একেবারে খাঁটি বাঙালিয়ানায় খাদ্যতালিকা সাজিয়েছে রেস্তোরাঁগুলো।
রেস্তোরাঁতে আসা একজন বলেন, 'বাচ্চাদের বাঙালি সংস্কৃতি বোঝানোর জন্য আজকে একদম বাঙালিয়ানা খাবার খেতে আসছি।'
রেস্তোরাঁ কর্মীরা বলেন, 'অন্যান্য দিনে ফাস্ট ফুড বেশি চললেও পহেলা বৈশাখের দিনে বাঙালি খাবার বেশি চলে।'
মিঠাই, মন্ডা, খই, জিলাপি, বাতাসা এসবের পাশাপাশি বাঙালির রসনায় জায়গা করে নিয়েছে পান্তা-ইলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পহেলা বৈশাখের সঙ্গে পান্তা-ইলিশ প্রচলনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। এই পান্তা-ইলিশের সূচনা ১৯৮৩ সালে রমনার বটমূলে।
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারের বাসিন্দা সম্পা দত্ত। ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চৈত্র সংক্রান্তির পর পহেলা বৈশাখে পরিবারের জন্য আয়োজন করেছেন খাসির মাংস, চিতলমাছের কোফতা, থানকুনি পাতার বড়া ও সজনে ডাল। মা ঠাকুমকে দেখেই শিখেছেন ঐতিহ্যবাহী রান্না।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৈশাখের খাবারদাবারে পরিবর্তন এসেছে এবং ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন হবে। এর মধ্যেও বাঙালিয়ানা ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকুক। নতুন প্রজন্ম জানুক বাঙালি পূর্বপুরুষদের ইতিহাস।