বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ। নানা আয়োজনে বৈশাখকে বরণ করে নিয়েছেন উৎসব প্রিয় বাঙালিরা। সাজসজ্জা, পোশাক, খাবার সবকিছুতে বাঙালিয়ানা আর বৈশাখের আমেজ। ভাত-ভর্তা, মিঠাই, মন্ডা, খই, জিলা‌পি, বাতাসা এসবের পাশাপা‌শি জায়গা ক‌রে নিয়েছে পান্তা-ইলিশ।

বৈশাখ ঘিরে হাওরের মানুষের সুখ-দুঃখ। এ অঞ্চলে বৈশাখ মানেই বোরো ধান ঘরে তোলার সময়। তাই তো বৈশাখের প্রথম দিনে পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওরের কৃষকরা।

একসময় বৈশাখ উপলক্ষে কয়েক মাস আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্পীরা। তবে এখন সময় পাল্টেছে। প্লাস্টিকের আধিক্য, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ শিল্প বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। তাই এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্পের নানা শিল্পকর্ম। ফুরিয়ে আসছে এসব পল্লীর কর্মব্যস্ততা। বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ায় সংসারে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন। তাই পেশা বদলাচ্ছেন শিল্পী-কারিগররা।

নতুনের বার্তা নিয়ে আসে বৈশাখ। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাড়তি রঙ পায় বাঙালির চিরায়ত বর্ষবরণ উৎসব। শোভাযাত্রার মোটিফে রঙতুলির শেষ পরশ বুলাতে ব্যস্ত চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সার্বজনীন উৎসব ঘিরে সৃজনশীল শিল্পচর্চা অব্যাহত থাকবে। দূর হবে যাবতীয় কলুষতা, আশা আয়োজকদের।

পানের বরজ ও চাষাবাদের উপকরণ হিসেবে রাজশাহীতে বাঁশের ব্যবহার বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা না মেটায় অন্যান্য জেলা থেকে বছরে এখানে আসছে অন্তত ৪৫ কোটি টাকার বাঁশ। বিভিন্ন উপকরণ তৈরিসহ এসব বাঁশের বাজারমূল্য আড়াই'শ কোটি টাকা।