রোববার (৭ এপ্রিল) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক,পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, কমিটির সদস্য সচিব লালজার লম বম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক সশস্ত্র হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা করে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং ১৩ এপ্রিল উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে গুলি ও ২টি ব্যাংকে লুট এর ঘটনায় জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত। কেএনএফ সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অস্ত্রগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা ও এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৯ জুন ১৮ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। গঠনের পর ৪টি ভার্চুয়াল বৈঠক ও ২টি সশরীরে বৈঠকে উভয় পক্ষের প্রথম বৈঠকে ৪টি ও ২য় বৈঠকে ৭টি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয় এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়। হঠাৎ কেএনএফ এর এই ঘটনায় সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে আমরা মনে করি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও শান্তি কমিটির সমন্বয়ে বম জাতি গোষ্ঠীর জন্য জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ৯৬৮টি বম পরিবারের মাঝে ১৩৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, নগদ অর্থ, শীত বস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। তাছাড়া কারাগারে থাকা ২ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা, কারাগারে থাকা অবশিষ্টদের আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তির ব্যাপারে আইনি সহায়তা অব্যাহত আছে। তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও আপমর জনগন এই ধরনের পরিস্থিতি কামনা করেনা। অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার, সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফ সদস্যরা শান্তি বজায় রাখবেন।
বিবৃতিতে কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়।