ফুটবল
এখন মাঠে

সাফ আয়োজনের সুযোগ হেলায় হারাচ্ছে বাফুফে

সাফের মতো বড় টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা বড় বোকামি করা হবে বলে মনে করেন সাবেক খেলোয়াড়রা। এছাড়া হঠাৎ কোচ পরিবর্তনকেও পরিকল্পনার ঘাটতি হিসেবে দেখছেন দুই সাবেক ফুটবলার।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবেচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট সাফ। যে আসরের খেতাব জিতে সাবিনা-সানজিদাদের প্রাপ্তির পূর্ণতা এসেছে ২০২২ সালে।

দুই বছরের বিরতিতে আবারও আসর গড়ানোর অপেক্ষায় খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়াপ্রেমীরা। আসরের দুই দল নেপাল ভুটানের থেকে স্বাগতিক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে মাঠ জটিলতায় তা আয়োজনে অনেকটা গড়িমশিভাব বাফুফের।

বাফুফে নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'বসুন্ধরার মাঠে আপাতত আয়োজনের চিন্তা করছি না। আমাদের প্রথম পছন্দ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। না হলে বাংলাদেশে সাফ হবে না। কারণ সাফ ঢাকার বাইরে হবে না।'

অনেক আগে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন শিগগিরই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পাওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও বসুন্ধরা কিংস এরেনা ও আর্মি স্টেডিয়ামের মতো ভেন্যু বাদ দিয়ে সংস্কার চলা স্টেডিয়ামের দিকে নজর ফেডারেশনের।

তবে এ নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় নয় বাফুফের নারী উইং, এমনটাই মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট দুই ব্যাক্তিত্ব। তাদের মতে সাফ টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হওয়ার ইচ্ছা নেই বাফুফের।

ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল গাফফার বলেন, 'ভেন্যু টা যদি বাংলাদেশে করা যায় তাহলে মেয়েদের জন্য একটা অ্যাডভানটেজ হবে। আর দেশের মানুষও মাঠে এসে খেলা দেখবে। নিজ মাঠে খেলার যে একটা আকর্ষণ সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হবো।'

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার বলেন, 'বসুন্ধরার মতো ভালো ফুটবল মাঠ মনে হয় আমাদের দেশে আর নাই। এটাকে একটা ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড মাঠ বলা যায়। এখানের সুবিধা অনুযায়ী। এই ভেন্যুটাতে না খেলার আগ্রহ কেন প্রকাশ করেছে তা আমি জানি না। তবে এটা ভালো সিদ্ধান্ত বলে আমার মনে হচ্ছে না।'

এদিকে নানা জটিলতায় এখনও মাঠে গড়ায়নি গত বছরের লেবাননের বিপক্ষে বাতিল হওয়া ম্যাচ। এছাড়া বাতিল হয়েছে মিয়ানমার সফরও। তাই প্রশ্ন উঠেছে খোলোয়াড়দের সাফের আগে প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে কতটা স্বচ্ছ বাফুফে?

আব্দুল গাফফার আরও বলেন, 'সাফের আগে যদি আমরা এ ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো না খেলতে পারি। তাহলে মেয়েদের কাছ থেকে আমরা কতটুকুই বা আশা করতে পারবো।'

ডালিয়া আক্তার আরও বলেন, 'যে খেলাগুলো আমরা খেলতে যেতে পারছি না বিভিন্ন ইস্যুতে। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ইন্টারভিউতে যে কথাগুলো বলে থাকেন। এটার কোন দলিল বা প্রমাণ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে দেয়া হয় কী!'

নারীদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা আসন্ন সাফে ধরে রাখতে শুধু অনুশীলন যথেষ্ট নয়। ক্রীড়া বিশ্লেষকদের পরামর্শ, এগুতে হবে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর