দেশে এখন
0

সারাদেশে দুর্ঘটনা-যানজটপ্রবণ ১৫৫ ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত

ঈদ এলেই মহাসড়কে যানজট বাড়ে, সঙ্গে যাত্রীদের ভোগান্তি থাকে চরমে। যানজট আর দুর্ঘটনা রোধে সরকার নানারকম উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এবার সারাদেশে দুর্ঘটনা ও যানজটপ্রবণ ১৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়ক, শুধু এই পথেই যাতায়াত করেন ২২ জেলার মানুষ। এই সড়ক সংস্কারের কাজের চিত্র র্দীঘদিনের। তবে ঈদ এলেই সংস্কার কাজ শেষ করার তোর-জোড় চলে।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট বাইপাইল ও গাজীপুর চন্দ্রা এলাকা। সরেজমিনে দুটি পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের ছুটির আগেই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। কখনও কখনও এই যানজট পৌঁছে যাচ্ছে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে এবার এই অংশে আরও সংকট তৈরি করতে পারে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। সবমিলিয়ে ঈদের ছুটিতে এই মহাসড়কে ঈদযাত্রা সুখকর হবে না ঘরমুখো মানুষের।

এক যাত্রী বলেন, ‘এবার এই পথে অনেক বেশি যানজট হবে। আর যানজটে পড়লে ভোগান্তিও বেড়ে যায়। ঢাকা থেকে বগুড়া যেতেই ১২ ঘণ্টা লেগে যায়।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য বলছে, যানজটপ্রবণ এলাকার মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫২টি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৮টি এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রয়েছে ৪১টি পয়েন্ট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রয়েছে ৬টি পয়েন্ট। এছাড়া ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা রয়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে। ঈদের আগে থেকেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টের অধিকাংশেই যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক-যাত্রীদের।

ঈদের আগেই সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। ছবি: এখন টিভি

চালকরা বলেন, প্রশাসন যদি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে যানজট হবে না। আর যেখানে-সেখানে পার্কিং বন্ধ হলেই যানজট হবে না বলেও তারা জানান।

সড়ক পরিবহন কপোরেশনের তথ্য বলছে, গেল ঈদে ঢাকা ছেড়েছিল ৫০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই সড়কপথে যাতায়াত করেছেন। তবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার ঈদ ও বাংলা বর্ষবরণ পাশাপাশি হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীচাপ আরও বাড়বে। যে কারণে যানজট আরও তীব্র হতে পারে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘দুর্ঘটনার সাথে সাথেই গাড়ি সরিয়ে ফেলা, যততত্র গাড়ি পার্কিং না করা আর ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে নজরদারি বাড়ালেই ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমে আসবে।’

ঈদযাত্রায় স্বস্তি দিতে সরকারের পরিকল্পনা আর উদ্যোগের কমতি নেই উল্লেখ করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বলছে, গেল বছর সারাদেশে ঈদ মৌসুমে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।