শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরো সিরিজেই বিশ্রাম নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এই সময়ে বাণিজ্যিক থেকে রাজনৈতি আর খেলার মাঠ সর্বত্র ছিল সাকিবের বিচরণ। শুধু মাঠেই নয়। সব কিছু সামলে সাকিব মাঠের বাইরেও অলরাউন্ডারে ছাপ রেখেছেন স্পষ্টই।
সিলেট টেস্টে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্রাম ভেঙ্গে ফিরছেন টেস্ট ক্রিকেটে। দারুণ স্বস্থির খবর বাংলাদেশের শিবিরের জন্য। লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটে এক বছর পর মাঠে নামবেন। তাই সাকিবকে দেখা গিয়েছিল মিরপুরে জিম থেকে রানিংয়ে নিজেকে ফিট করে তুলতে। মাঝে প্রিমিয়ার লিগেও খেলেছেন নিয়মিত। শত ব্যস্ততার মাঝে ক্রিকেটেই ছিলেন বিশ্বসেরা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই যুগে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ২৫টি। যার মধ্যে সাকিব খেলেছেন ৯ টেস্ট। এ কয়টি টেস্টেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান। তিনবার নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টে সাকিবের শিকার ১৫ উইকেট। তাই লঙ্কান ব্যাটারদের জন্য সাকিবের স্পিন ধাঁধা হতে পারে আতঙ্ক। শুধু বোলিংয়েই নয়। ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত সেভেন্টি ফাইভ। আছে সেঞ্চুরি সাথে ৪ ফিফটি।
টেস্টে সাকিবের ফেরার যেমন সু-খবর। ঠিক তেমনি, বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে সমতায় ফেরাটাও হবে দারুণ খবর। কিন্তু, তার আগে ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং এই তিন বিভাগে একাদশের ক্রিকেটারদের টিম বাংলাদেশ হয়ে জ্বলে উঠার বিকল্প নেই। নয়তো চট্টগ্রাম টেস্টে বাঘ সিংহের লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম হবে শ্রীলঙ্কা।