ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারের ঘটনা ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পরও পদত্যাগ না করে বরং কারাগারে বসেই সরকার চালাচ্ছেন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বন্দিদশা থেকে রাজধানী দিল্লিতে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশনা দেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এর আগে দিল্লির কোনো কোনো এলাকায় পানীয় জলের অভাব আছে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লিবাসীর যেন কোনো সমস্যা না হয় তাই ইডি হেফাজতে থেকেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন কেজরিওয়াল।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তার মুক্তির দাবিতে আম আদমি পার্টির নেতা, সমর্থক ও কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয়। সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে তাদের কর্মসূচি বাতিলে ১৪৪ ধারা জারি করে দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়া কয়েক ডজন কর্মী, সমর্থক গ্রেপ্তার হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মোদী তার পথের কাটা দূর করতে বিরোধী নেতাদের কারাগারে পাঠাচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, সমাবেশের জন্য আপ নেতারা কোনো আবেদন করেনি। মোদীর বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানায়। আসন্ন নির্বাচনে কেজরিওয়ালের প্রচারে ভীত মোদী সরকার। কর্মীদের আটকের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা এখন স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে আছি। গণতন্ত্রকে রক্ষায় সাধারণ মানুষকে আওয়াজ তুলতে দিচ্ছে না।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়াল স্বেচ্ছায় ইস্তফা না দিলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপি নেতারা বলছেন, কারাগারে বসে রাজত্ব চালায় মাফিয়ারা, কেজরিওয়ালের এভাবে সরকার চালানো বেআইনি।
মদ নিয়ে আবগারি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে শিখ নেতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগও উঠে। কেজরিওয়ালের অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন তার স্ত্রী।