ফুটবল
এখন মাঠে
0

হতাশা নিয়ে দেশে ফিরেছে জাতীয় ফুটবল দল

একরাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ফিফা বিশ্বকাপে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচ শেষে রাতে খেলোয়াড়সহ কোচিং স্টাফের সবাই ঢাকায় পা রাখে। তিনদিন পর ঘরের মাটিতে ফিলিস্তিনের ফুটবলারদের আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের কারণ খুঁজতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার কথা জানিয়েছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ফুটবল দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা'র বিষণ্ণ চেহারা বলে দিয়েছে ফিলিস্তিনের সঙ্গে শেষ ম্যাচে কতটা ধকল গেছে দলের উপর দিয়ে। দলের ফুটবলারদের শরীরি ভাষাও ক্লান্ত ও বিষণ্ণ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ম্যাচটি এমন হবে এটিই বা কে ভেবেছিলো! কারণ এর আগে কখনোই ফিলিস্তানের কাছে বাংলাদেশকে দুই গোলের বেশি হজম করতে হয়নি। তবে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকটা ছেলে-খেলাই খেলেছে।

প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট আর দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম পাঁচ মিনিট, এ ১০ মিনিটে ৫ গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ছিলো একদম ভিন্ন। ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিট প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করে জামাল-তপুরা। তৈরি করে গোলের সুযোগও। তবে গোল আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।

ম্যাচ হারের পরের দিন কুয়েত থেকে পৌনে একটায় দেশে পৌঁছায় তারা। অনেকটা সাদা-মাটাভাবেই গ্রহণ করা হয় দলকে। ছিলনা খুব একটা মিডিয়ার আনাগোনাও। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচে গোল মিসই ছিল বাংলাদেশের হারার মূল কারণ।

কাবরেরা বলেন, 'রক্ষণে যে ফিলিস্তিন ভালো করবে এটা আমার আগেই জানা ছিলো। তবে আমরা প্রথম ৪০ মিনিট ভালো খেলেছি। অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়া করেছি আমরা। দল সেখানেই পিছিয়ে গেছে। তারা অবশ্য সে ভুল করেনি, সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।'

২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিনের। সে ম্যাচের আগে ছেলেদের সাথে আগের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতে চান কোচ, খুঁজে বের করবেন হারের প্রধান কারণ কী কী ছিলো।

হেড কোচ আরও বলেন, 'আমরা ছেলেদের সঙ্গে বসবো। কেন হেরেছি এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাই। খুঁজে বের করতে চাই হারের কারণ কী। এরপর আমরা পরবর্তী ম্যাচের পরিকল্পনা করবো।'

বাংলাদেশ কি পারবে ফিলিস্তিনকে রুখে দিয়ে পাঁচ গোলের সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে? তার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত।