রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের ক্ষমতায় ভ্লাদিমির পুতিন। পঞ্চমবারের মতো রাশিয়া শাসন করবেন সাবেক এ কেজিবি কর্মকর্তা।
ক্রেমলিনের দাবি, রাশিয়ায় পুতিন জনপ্রিয় নেতা, এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
পুতিনের জয়কে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ স্বাগত জানালেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর। এর জোরালো প্রমাণ দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। পুতিনের ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।
রুশ অধ্যুষিত ইউক্রেনীয় যে চারটি অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেখানে, ভোট কারচুপির তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। মারিওপোল শহরের বাসিন্দা 'মাইকোলা' আল-জাজিরাকে জানান, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আগেই এ অঞ্চল ছাড়েন তিনি।
প্রায় দু'বছর হলো তিনি সেখানে নেই। তবে রুশ অধ্যুষিত ঐ অঞ্চলটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় তার নাম দেখা গেছে বলে জানান 'মাইকোলার' বাবা-মা। 'মাইকোলার' অনুপস্থিতিতে তার নামে জাল ভোট দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
গড়মিল পাওয়া গেছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যেও। প্রধান নির্বাচন কমিশনার 'এলা পেমফিলোভা' বলেন, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, রাশিয়ায় ১১০ মিলিয়ন ভোটার। এদের মধ্যে ৮৭ মিলিয়ন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। যার মধ্যে ৬৫ মিলিয়ন পুতিনকে ভোট দিয়েছে।
রাশিয়ার নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম 'নোভায়া গেজেটায়' প্রকাশিত তথ্য বলছে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী যে ৬৫ মিলিয়ন মানুষ পুতিনকে ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩১ মিলিয়ন ভুয়া ভোটার। আর এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট কারচুপি করেছেন পুতিন। এমনটাই উঠে আসে তাদের প্রতিবেদনে।
এছাড়াও নির্বাচনের মাঠে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা অনেক যুবক অভিযোগ তুলেছেন, রাশিয়ায় সাংবিধানিক বিধিনিষেধ মেনে ভোট হয়নি এবার।