এশিয়া
বিদেশে এখন

কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারে ক্ষোভে ফুঁসছে আম আদমি পার্টি

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। এই দলের ভবিষ্যৎ আর দিল্লির নেতৃত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নরেন্দ্র মোদিকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে বিরোধীরা বলছে, গণতন্ত্রকে শেষ করতে চাইছে এই কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লির বহুল আলোচিত মদনীতি সংক্রান্ত আবগারি দুর্নীতি মামলায় নয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হন।

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কেজরিয়াল প্রথম কোনো মুখমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে গ্রেপ্তার হন এএপি'র আরও দুই সদস্য। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) দিল্লির পাশাপাশি পুরো দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে এএপি।

দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাজ বলেন, 'আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার পরও রাতের অন্ধকারে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার সবার সামনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। দেশের জন্য কলঙ্ক, গণতন্ত্রের হত্যা। বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে ছাড়া হবে না, এই হুশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। অরবিন্দ একা নন, দিল্লির দুই কোটি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। আজ লড়াই শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ হবে।'

এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বৈরশাসক উল্লেখ করেছে এএপি। যদিও কেজরিওয়াল জেলে বসেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে আম আদমি পার্টি। তবে এই ঘটনায় দিল্লি সরকার পরিচালনা ও দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা আর গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারণা কিভাবে চলবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আলোচনায় উঠে আসছে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন কালকাজির এমএলএ অতিশি সিং।

কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। ভারতের রাজধানী জুড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আম আদমি পার্টি।

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের এই অভিযোগ আনা হয় দিল্লি সরকারের ২০২১–২২ সালের আবগারি নীতি ঘিরে। অভিযোগ ওঠে, ওই নীতিতে বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য ওই নীতি বাতিল করা হয়েছিল।

তদন্ত সংস্থা ইডির অভিযোগ, এই নীতি করে আম আদমি পার্টির নেতারা ১০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। এ মামলায় এর আগে দলটির নেতা মনীশ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর