আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সরকার হজ-যাত্রীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সকল ধরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। আল্লাহ'র মেহমানদের আমরা যথাযথ সম্মানের সাথে হজ পালন করাতে যাবতীয় উদ্যোগ নিতে সবসময় প্রস্তুত। এক্ষেত্রে হাবের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ফরিদুল হক আরও বলেন, 'আমাদের হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর সম্ভাব্য সমাধানের সকল পথ বের করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ নিলে হজ-যাত্রীগণ আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেগুলো নিয়ে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে।'
হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, 'গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে হজ ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশকোনা হজক্যাম্প হজ-যাত্রীদের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। ই-হজ ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। জেদ্দা হজ টার্মিনালে বাংলাদেশ প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে রেকর্ডসংখ্যক ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৫ জন হজ-যাত্রী হজ পালন করেছেন।'
হজ ব্যবস্থাপনায় হাবের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, 'এদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় হাব একটি বড় অংশীদার। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে হাবের ইতিবাচক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হজযাত্রায় উদ্বুদ্ধকরণ, হজযাত্রী সংগ্রহ ও হজ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি প্রভৃতিক্ষেত্রে হাবের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।'
আগামীদিনে হজ-যাত্রীদের কল্যাণে হাবের ভূমিকাকে আরও বেশি ফলপ্রসূ ও কল্যাণমূখী করার জন্য মন্ত্রী হাবের প্রতি অনুরোধ জানান।