ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে জেল খাটছিলেন তিনি। কিন্তু আগেভাবেই ছাড়া পান সিনাওয়াত্রা। মুক্তি পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম প্রকাশ্যে আসা।
থাকসিন দুইবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।
নিজ শহর চিয়াং মাইতে তিনদিনের সফরে যাওয়ার আগে তিনি ব্যাংকক সিটি পিলার শ্রাইনে যান।সেখানে ভোর পাঁচটার দিকে তিনি প্রার্থনা করেন। এ সময়ে মন্দিরের সামনে বেশ কিছু মিডিয়া কর্মী ভিড় করে।
মন্দির থেকে থাকসিন চিয়াং মাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এটি তার ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক শক্তির ঘাঁটি। এখানে তিনি পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
এ সময়ে তার সাথে ছিল কন্যা পেতংটার্ন ও তার স্বামী। পেতংটার্ন বর্তমানে ফেউ থাই পার্টির প্রধান।
৭৪ বছর বয়সের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকসিন ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে গত আগস্টে দেশে ফিরে আসেন। আসার পর পরই আট বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত থাকসিনকে জেলে পাঠানো হয়।
থাকসিন পুলিশ কর্মকর্তা থেকে টেলিকম টাইকনে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে জনপ্রিয় নীতির জন্যে লাখ লাখ গ্রামীণ জনগণের ব্যাপক ভালোবাসা পান। কিন্ত তিনি দেশের রাজকীয় ও সামরিকপন্থীদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানপন্থী এবং থাকসিন ও তার মিত্রদের মধ্যে আধিপত্যের এ লড়াই গত দুই দশকের থাই রাজনীতিকে প্রবলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।