নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু ঘটনাটি সীমান্তের বাইরে, তাই বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। নাবিক ও ক্রুদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা দরকার, তার সবই করা হবে।'
মুক্তিপণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত অপহরনকারী জলদস্যুরা কোনো মুক্তিপন চায়নি। মুক্তিপন না দিলে জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের মেরে ফেলা হবে, এ ধরনের কোন হুমকি দেয়া হয়েছে বলে সরকারের জানা নাই।'
প্রতিমন্ত্রী জানান, জিম্মিতে থাকা জাহাজের ২৩ জন নাবিক ও ক্রুর জীবনের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিকভাবে তৎপরতা শুরু করছে বলেও জানান তিনি।
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সমুদ্র থেকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছতে কমপক্ষে আরও দেড় থেকে দুইদিন লাগতে পারে।
বর্তমানে জাহাজটি ভারত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিম দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু যাচ্ছে। লোকেশন ম্যাপ বলছে, স্থলভাগ থেকে জাহাজটি বুধবার ভোরে ৪৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলো। তবে জাহাজটি ধীরে চলছে বলে ধারণা অধিদপ্তরের।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক জিম্মি আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাইয়ের আল হামরিয়া পোর্টে যাচ্ছিলো জাহাজটি। ১৯ মার্চ দুবাইয়ে পৌঁছানোর কথা ছিলো জাহাজটির।