দেশে ২৮ বছর ধরে চলছে ক্যাবল টেলিভিশন ব্যাবসা। যা বর্তমানে দশ হাজার কোটি টাকা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কেবল টেলিভিশন ব্যবসা।
অথচ এই ব্যবসা ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসায় উন্নীত করা সম্ভব কিন্তু সেখানে এখন ব্যবসা হারাতে বসেছে ক্যাবল টিভি ব্যবসায়ীরা। যার বড় কারণ হয়ে উঠেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের অবৈধ সম্প্রচার।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় উঠে এসেছে ব্যবসার সমস্যার দিক। তিন মাসের মধ্যে কমিটি করে সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানান বক্তারা।
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশারফ আলী চঞ্চল বলেন, 'আইএসপি সার্ভিস প্রোভাইডার যারা আছে তারা কিনে না নিয়ে পাইরেসি করে এই চ্যানেলগুলো চালাচ্ছে, এতে আমরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।'
টেলিফোনের বিজ্ঞাপনের চাহিদা কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ওটিটিতে বিজ্ঞাপন বেড়ে গেছে। অবৈধ ক্যাবল টিভি ব্যবহারের কারণে প্রতিদিন সাবস্ক্রিপশন হারাচ্ছে কোয়াব। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে ব্যবসা। তাই সরকারের কাছে কেবল টিভি শিল্পকে বাঁচানোর অনুরোধ জানায় বক্তারা।
কোয়াবের সভাপতি এ বি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, 'অবৈধ এবং বেআইনি কার্যকলাপের কারণে আজকে আমাদের বিজনেস তলানিতে এসে পড়েছে। আমাদের গ্রাহক প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে এবং যে কর্মচারি আছে তাদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, স্যাটেলাইট টিভি বিল অনেক খরচ। এসব কিছু যোগান দিতে আমরা পারছি না এখন।'
পাইরেসি করে টিভি চ্যানেল গুলো নানা মাধ্যমে দেশের টিভি। অনুমোদনহীন চ্যানেল চালানো যাবে না,
অবৈধ ভাবে টেলিভিশন ইন্টারনেটে সম্প্রচার সহ ৪ দফা দাবিতে আগামী ১১ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সকল টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ রেখে ৪ ঘণ্টা প্রতীকী ধর্মঘট করার ঘোষণা করে কোয়াব।
প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় আয় কমে যাচ্ছে কেবল টেলিভিশন ব্যবসায়। তাই কোয়াবের দাবি কেবল টিভির ডিজিটালাইজেশনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।