রোজার আগে শেষ শুক্রবার আজ। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাই অন্য সময়ের তুলনায় ভিড় একটু বেশি। ক্রেতাদের নজর ছিল রোজার দরকারি পণ্যগুলোর দিকে।
গতবছরের তুলনায় বেড়েছে ছোলা, ডাল ও বেসনের দাম। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি। তাই আগের মতো একসঙ্গে সারা মাসের বাজার করা হয়নি দিলিব আহমেদের।
তিনি বলেন, 'যেখানে আগে এক কেজি কিনতাম, সেখানে হয়তো ২০০ গ্রাম কম কিনছি। আমার অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনুযায়ী বাজারটা সামঞ্জস্য করে নিতে হচ্ছে।'
কারওয়ানবাজারে ছোলা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১০৫ টাকা। মুগডাল ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, খেসারি ১২০, বেসন ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে পণ্যের ঘাটতি থাকায় দাম বেশি।
কারওয়ান বাজারের একজন বিক্রেতা বলেন, 'ছোলা ছিল ৯০ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। তিনদিন আগে থেকে সব ধরনের ডালের দাম ১০-১৫ টাকা বেশি। আবার আগের মতো ভালো মানের আসে না কিন্তু দাম বেশি।'
সপ্তাহ ব্যবধানে মাংসের দামও বেড়েছে। ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায় আর সোনালী মুরগি ২০-৩০ টাকা বেড়ে ৩৪০-৩৫০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে তারা ব্রয়লার কেনেন ২১৫ টাকা দরে আর সোনালী কিনতে হয় ৩২০-৩৩০ টাকায়। সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত এখানেও।
একজন ক্রেতা বলেন, 'আগে ১২-১৫টা মুরগি নিতাম কিন্তু এখন ৬টা নিতেই খবর হয়ে যাচ্ছে।'
রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
ক্রেতারা বলেন, 'গরুর মাংস কেনা এখন আমাদের জন্য অসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।'
এ সপ্তাহে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৬০০ টাকা, রুই ৪৫০, কাতল ৫০০, পাবদা ৫০০ আর চিংড়ি ৯০০-১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোজার মধ্যে ব্যবসায়ীদের আরও মানবিক হওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।