শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়েদের পথ চলায় সরকার সুযোগ করে দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলে আলাদা সুবিধা পাবে নারীরা। নারীদের সমঅধিকার ও সমসুযোগ দিতে চায় সরকার। সবজায়গায় নারীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নারীদের দক্ষতা প্রমাণ করতে চায়। সরকারি সুবিধায় নারীদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের নারীরা এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে খেলাধুলা ও প্রতিটি জায়গায় সাফল্য পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, 'এভারেস্টে আমাদের মেয়েরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে গেছে। সব খেলাধুলায় তারা এগিয়ে আছে। ফুটবলে বাংলার মেয়েরা ভারত ও ভুটানকে হারিয়েছে।'
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরনো আইনকে যুগোপযোগী করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু ঘরে বসে নয়, বাইরে মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে। সংসারের কাজ হিসাব করলে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রম দেয় নারীরা। নারীরা যেন কখনও পিছিয়ে না থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী পুরুষ এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এছাড়াও নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
সেরা পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন; ময়মনসিংহের আনার কলি (অর্থনৈতিক), রাজশাহীর কল্যাণী মিঞ্জি (শিক্ষা ও কর্মসংস্থান), সিলেটের চা শ্রমিক কমলি রবি দাশ (সফল মা), বরগুনার জাহানারা বেগম (নিপীড়ন প্রতিরোধ) এবং খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কল্যাণী মিঞ্জি পুরস্কার পাওয়ার পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, স্যাশ (উত্তোরিয়) ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী ও কর্মকান্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।