ট্রাম্প ১১টি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে ১৪টি অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের জয়ী হওয়ার আভাস মিলেছে। এর মধ্য দিয়ে এবারের নির্বাচনে তেমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়নি বাইডেনকে। এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের দুজনের মনোনয়ন এখন অনেকটা নিশ্চিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন সুপার টিউসডে। টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়াসহ একযোগে ১৫ টি অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোট। সারাদেশে প্রাইমারির দৌঁড়ে বেশ ভালো অবস্থানে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌঁড়ে ১১ টি অঙ্গরাজ্যে জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এরপরও খুব একটা প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না বাইডেনকে। ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌঁড়ে তিনি জয়ী হয়েছেন ১৪ টি অঙ্গরাজ্যে। পুরো দেশের প্রাইমারিতে জমে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর প্রতিযোগিতা। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের ফিরে আসা মানে বিভেদ আর অস্থিতিশীলতা ফিরে আসা।
আশ্চর্যজনকভাবে ভারমন্টে জয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রার্থীরই দেশে জনপ্রিয়তা কম থাকলেও নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক এই প্রতিযোগিতা আভাস দিচ্ছে, পিছিয়ে নেই কোন প্রার্থীই। অ্যালাবামা, ক্যালিফোর্নিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়ায় ভালো অবস্থানে থাকলেও নর্থ ক্যারোলাইনা আর ভার্জিনিয়ায় ট্রাম্পকে নিয়ে নেতিবাচক অবস্থানে তরুণরা। তবে ট্রাম্প বলেন, দেশ এখন নানামুখী সংকটের মধ্যে আছে, দেশের অর্থনীতিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমরা আগেই ভালো ছিলাম, ইউক্রেনে হামলা হয়নি, গাজায় হামলা হয়নি, ইরানের হামাস, হিজবুল্লাহ'র জন্য অর্থ ছিল না। আমাদের মূল্যস্ফীতি ছিল না। মধ্যবিত্তদের শেষ করে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি। তারওপর সীমান্তে যা হচ্ছে তা অকল্পনীয়। লাখ লাখ মানুষ আমাদের দেশে আসছে। দেশের অর্থনীতিকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।'
সাধারণ মার্কিনিদের প্রত্যাশা, দূর হোক অভিবাসী সংকট। কমে যাক দেশের ঋণের বোঝা আর মূল্যস্ফীতির চাপ। দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। দেশের আর্থিক দুর্দশা, অভিবাসন সংকটের জন্য কেউ তুলোধনা করছেন ট্রাম্পকে, কেউ বাইডেনকে।
ট্রাম্প সমর্থক একজন বলেন, 'ট্রাম্পের জন্য ভোট দিয়েছি। সে অনেক ভালো করেছে তার মেয়াদে। অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ছিল। সবকিছু এখন নড়বড়ে।'
ট্রাম্পবিরোধী একজন বলেন, 'ট্রাম্প ভয়ঙ্কর নেতা। মনে হয় নিকি হ্যালি তার চেয়ে ভালো সামাল দেবে। যদিও আমি রিপাবলিকান না। তবু মনে হয় ট্রাম্পের চেয়ে হ্যালি ভালো দেশ চালাবে।'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে হলে মনোনয়ন প্রত্যাশীকে আগে নিজ দলে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়। জিতে আসতে হয় অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রাথমিক বাছাই আর ককাসে।





