শুক্রবার ভোর থেকেই জমজমাট দেশের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট। দেশের নানা প্রান্ত আর সমুদ্রে ধরা পড়া মাছ আসতে থাকে ট্রাকে ট্রাকে। বিক্রেতারা জানান, এ মৌসুমে উৎসব বাড়ায় রূপচাঁদা, কোরাল, হাম্বল, চিংড়িসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের চাহিদা বেড়েছে, তবে সরবরাহ সেভাবে বাড়েনি। তাই দামও বাড়তি।
অন্যদিকে আজ থেকে শুরু হয়েছে নদীতে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এতে মিঠা পানির মাছের চাহিদা বাড়ায় কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। বড় এ পাইকারি বাজারে মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা মাছও পাওয়া যায়। তবে ডলার সংকটে এসব মাছের দামও বাড়তি।
মাছ ব্যবসায়ী বলেন, 'সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম এখন বেশি। রুই মাছের দাম প্রায় ৩০০ টাকার মতো কেজি। চিংড়ি ও রূপচাঁদা মাছের দাম একটু বেশি।অন্যান্য মাছের দামও বেশি।
আরেকজন বলেন, 'আমদানি মাছ আপনার ডলার সংকট এবং এলসিএর কারণে কমে গিয়েছে। ডলার সংকট থাকায় এখন বন্দর দিয়ে একটু কম আসছে মাছ।'
শুক্রবার থেকে বাজারে কার্যকর হয়েছে সয়াবিন তেলের নতুন দাম। লিটারে ১০ টাকা কমে বোতলজাত সয়াবিনের দাম এখন ১৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তবে রমজানের প্রয়োজনীয় বেশীরভাগ ভোগ্য পণ্যেরই দাম চড়া। সরকার শুল্ক কমালেও প্রভাব পড়েনি খেজুর, ছোলার বাজারে। বরং গত এক সপ্তাহে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ টাকা। খেজুরও বেড়েছে মানভেদে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা।
হঠাৎ কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩৫ টাকা।
শবে বরাতের আগে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের আগে সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে। ব্রয়লার মুরগি বাড়লে সোনালী আর দেশী মুরগীর দামও বেড়ে যায়।
ব্যবসায়ী বলেন, 'বেচা কেনা তেমন হচ্ছে না। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় আর সোনালি চলছে ৩০০ টাকা কেজি করে।'
চট্টগ্রামের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা প্রতিকেজি, খাসির মাংস ১১০০ টাকায়।
কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। শীতকালীন সব ধরনের সবজিতে বাজার ভরপুর। টমেটো, ফুলকপি, বেগুন, বাঁধাকপি, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে। শিমের বিচি ১০০ টাকা, বরবটি, পটলসহ গ্রীষ্মকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
রমজানের আগে ভোগ্যপণ্যের দাম কমানোর তোড়জোড় থাকলেও বাজারে তার প্রভাব না থাকায় ক্ষুদ্ধ ক্রেতা সাধারণ।