কৃষি , মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ
দেশে এখন
0

মধ্যরাত থেকে মাছ ধরায় দু'মাসের নিষেধাজ্ঞা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ইলিশের ৬টি অভয়াশ্রমে পহেলা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। তবে অভিযানের সফলতা নিয়ে শঙ্কা খোদ জেলেদেরই।

জাল আর নৌকা মেরামতে সময় পার করছেন চাঁদপুর মেঘনা পারের বেশিরভাগ জেলে। মার্চ থেকে এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনাসহ ইলিশের ৬টি অভয়াশ্রমে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই জেলে পল্লীগুলোর চিত্র এখন এমনই।

কিন্তু সরকারের এই কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে খোদ জেলেদের মাঝেই। কারণ নদীতে মাছ ধরতে প্রায় ৮০ ভাগ জেলেই ব্যবহার করেন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। বছরে শুধুমাত্র চাঁদপুরেই অন্তত ৫শ' কোটি টাকার কারেন্ট জালের ব্যবহার হয়। জেলেরা বলছেন, এই জালের ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা আর অভিযানে সফলতা আসবে না। তারা বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আমরা জালের এবং নৌকার কাজ করাই। অভিযানের সময়  আমরা নদীতে জাল ফেলি না।'

জেলেদের দাবি, কারেন্ট জাল যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ ঝাটকা উঠবে। তাই ঝাটকা ধরা বন্ধ করতে চাইলে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করার কথা জানান তারা।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে মাছ ধরায়। এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন অধিকাংশ জেলে। আয় উপার্জন না থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। তাই সরকারি সহায়তা বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।

নিষেধাজ্ঞার সময় জাটকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাত নিষেধ। নৌ-পুলিশ ও জেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, অভিযান সফল করতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কারেন্ট জাল ব্যবহারকারী ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

চাঁদপুরের মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, 'আমাদের যে ইলিশা উন্নয়ন প্রকল্প আছে সেখানে তাদের আমরা সুতার জাল দেই। একটা নিদিষ্ট এরিয়াতে যেখানে জেলে বেশি আছে সেখানে এই জাল দেওয়া হয়। আমরা আশা করবো যে, জেলেরা এই কারেন্ট জালের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসবে।'

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'বিগত বছরগুলোতে আমরা জানি যে আমাদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা ছিল এবং অপারেশনাল যে দক্ষতা সেই দক্ষতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা অবৈধভাবে মাছ শিকার করবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর থাকবো। তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

গেলবছর নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে শুধুমাত্র চাঁদপুরেই জব্দ করা হয় ৮৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।

ইএ