পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নানারকম অবৈধ সুবিধা দিতে কাজ করছে বাংলাদেশের একাধিক চক্র। জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট বানিয়ে দেয় তারা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে এমনই এক চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। যাদের মধ্যে ২জন আনসার সদস্যও রয়েছে। এসময় ১৩টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৭টি পাসপোর্ট ও ২৪টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
রোহিঙ্গাদের থেকে জব্দকৃত বিভিন্ন মালামাল। ছবি: এখন টিভি
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি তিন ধাপে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে থাকে। এদের মধ্যে প্রথম গ্রুপ ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে রাজধানীতে নিয়ে আসে রোহিঙ্গাদের। দ্বিতীয় গ্রুপটি তথ্য গোপন করে জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডির কাজ করে। এ জন্য তাদের দিতে হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর তৃতীয় গ্রুপটি প্রায় লাখ টাকার বিনিময়ে বানিয়ে দেয় পাসপোর্ট।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, 'গ্রেফতারকৃত দালালদের মোবাইলে শত শত পাসপোর্ট দেয়ার তথ্য পেয়েছি। রোহিঙ্গা ছাড়াও বাংলাদেশি আসামিদেরও ভিন্ন নাম ঠিকানার পাসপোর্ট দিচ্ছে। অনেককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে, আবার অনেকে বাংলাদেশে থেকে অপরাধ করছে।'
গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সঙ্গে সরকারি সংস্থা'র কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থার কথা জানান তিনি। বলেন, 'দালাল, অথবা সরকারি কোনো কর্মকর্তা এদের পিছনে আছে কি না? আমরা সে তথ্য বের করে পরতর্তীতে জানাবো।'





