বাংলাদেশ থেকে যে কয়টি দেশে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি যায়, তারমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তালিকার পরেই রয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা এখন ১৪ লাখ ৫৯ হাজার।
গতবছরও দেশটিতে শুধু বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার জনশক্তি। মালয়েশিয়া ঘিরে বেশ আগ্রহও রয়েছে প্রবাসী হতে চাওয়া কর্মীদের মাঝে।
এ অবস্থায় জিরো কস্ট মাইগ্রেশনের অধীনে চতুর্থবারের মতো মেকানিক্যাল খাতে দক্ষ ৬৯ জনকে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। যাদের বেতন হবে ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। গত বছরের জুন থেকে চালু হওয়া একইভাবে তিনবারে আরও ১১৬ জন গিয়েছে । কোনো টাকা খরচ না হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এ প্রক্রিয়ায় যাওয়া কর্মীরা।
একজন কর্মী বলেন, 'ফেসবুকে একটা ভিডিও এসেছিল যেখানে লেখা ছিল বিনা খরচে মালেয়শিয়া যাওয়া যাবে। ভিডিওতে দেখলাম সম্পূর্ণ সরকারি খরচে মালেয়শিয়া যেতে পারছে। সেখানে আবেদন করলে তারা আমাকে পরীক্ষার জন্য ডাকে।'
এ মেথড বাস্তবায়ন করা ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল বলছে, খুব শিগগিরই আরও ৪০০ জনকে কোন খরচ ছাড়াই মালয়েশিয়া পাঠাবে তারা।
মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি নানাভাবে প্রতারিত হন উল্লেখ করে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, যেতে যে কোনো টাকা লাগে না এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে মানুষকে।
যারা বিনামূল্যের এ ভিসায় মালয়েশিয়া যাচ্ছেন, তাদেরকে বৈধপথে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, এ প্রক্রিয়ায় বছরে ১০ শতাংশ লোক পাঠানো যায় কি-না তা নিয়ে ভাবছে সরকার।
রুহুল আমিন আরও বলেন, 'মালয়েশিয়াকে ৩ থেকে ৪ টা ব্যাংকের অ্যাপস আছে। সে অ্যাপের মাধ্যমে সব পরিশোধ করে দিবেন। এর মাধ্যমে টাকাটা রেমিট্যান্স হিসেবে সরাসরি দেশে পাঠাতে পারবেন।'
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টায় ৬৯ জন কর্মীর মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে।