কবিতার সম্মোহন কিংবা বাঁশির মায়াবী সুরে হারিয়ে গেছে একদল নবীন-প্রবীণ। তারা বিশ্বাস করে, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। এই বিশ্বাসে ভর করে অনেকেই তার নিজের স্বপ্নকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তিতে শীতের সকাল থেকে নাচ, গান, আবৃত্তি আর নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলা বসেছে। কেউ স্মৃতিচারণ করছেন আবার কেউ আলোকিত হওয়ার গল্প বলছেন।
সাহিত্যপ্রেমীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্র যতটা না বড় হয়েছে তার চেয়ে বেশি বড় মানুষ গড়ার কাজ করেছে এবং এই কাজটি অব্যাহত আছে। সপ্তাহের ছুটির দিনে আমাদের বসা হতো। সায়ীদ স্যারের বাসা থেকে বই নিয়ে যেতাম। একটা করে বই দেয়া হতো, সেটা সপ্তাহ ধরে পড়তাম। চাকুরি পাবার জন্য পড়া নয়, এটা অবস্তুগত সৌন্দর্য অর্জনের সাধনা।'
কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ছোট একটা গ্রন্থাগার থেকে এখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিশাল পাঠাগারে পরিণত হয়েছে। যার পরিধি দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। তাই বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্র রঙিন সাজে সেজেছে। আলোর স্কুল, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, আলোকচিত্র কর্মশালার নতুন পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে।
তারা বলেন, ‘খুব উৎসবমুখর পরিবেশ, এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।’
স্বপ্ন আলোকিত হওয়ার আর তার মাধ্যম হলো বই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ছুটে গেছে। ১৯৯৯ সালে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চারটি বড় শহরে প্রথম চালু হয়। বর্তমান ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি দেশের ৬৪টি জেলার মোট ৩০০টি উপজেলায় চলছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান লাইব্রেরিতে রয়েছে দুই লাখের বেশি বই। মোট সদস্য ৭০ হাজারের বেশি। শিল্প-সাহিত্যের মেলবন্ধনে এই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তীর্থস্থান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সবার প্রত্যাশা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হাজার বছর বেঁচে থাকবে। এ দেশের হাজারো তরুণকে আলোকিত করবে।