এরমধ্যে জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ লাখ এবং সময় বাড়ানোর পর পরবর্তী দুই মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রিটার্ন জমা পড়েছে ১৩ লাখ ৪০ হাজার।
আয়কর আইন অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরকে জরিমানাহীন রিটার্ন জমার শেষ দিন ধরা হয়। নভেম্বরের পর রিটার্ন জমা দিতে গেলে জরিমানা গুনতে হবে আয়করের সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ। এমনকি কর অব্যাহতি, বিনিয়োগের রেয়াতসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন করদাতা।
কিন্তু চলতি অর্থবছরে নভেম্বরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণে এনবিআরের আশানুরূপ রিটার্ন জমা পড়েনি। অপরদিকে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহল থেকে এনবিআরের কাছে চিঠিও পাঠানো হয় সময় বাড়াতে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের জন্য দুই মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর ও জানুয়ারি সময় বাড়ানো হয় হয়।
এদিকে গেল অর্থবছরেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমার সময় বাড়ায় এনবিআর। পরে আরও একদিন সময় বাড়িয়ে জমা নেয়া হয় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময়ে জরিমানাহীন সময়ের মধ্যে ২৮ লাখ ৫১ হাজার রিটার্ন জমা পড়ে।
বর্তমানে দেশে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন (টিআইএন) নম্বর আছে ৯৮ লাখের বেশি। আর গতবছর একই সময়ে ছিল ৮২ লাখ। সে হিসেবে ১৬ লাখেরও বেশি টিনধারীর বিপরীতে রিটার্নদাতা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ।