রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রায় ২ বছর ধরে ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। তবে যুদ্ধের মাঝেই দুর্নীতির ছড়াছড়ি চলছে কিয়েভে।
হরিলুটের সবশেষ সংযোজন হিসেবে ১ লাখ ডলারের মর্টার শেল কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ডলার। এমন পুকুর চুরিতে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সরকারি কর্মকর্তাকে। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়ায় হুমকির মুখে ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপ্রাপ্তি।
তবে স্বচ্ছতা প্রচার ও দুর্নীতির মূল উৎপাটন অভিযানের অংশ হিসেবে গেল দুই বছরের আয়ের বিবরণী প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২১ সালে জেলেনস্কি পরিবারের আয় ছিলো ২ লাখ ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২০ সালের আয়ের তুলনায় ৩০ হাজার ডলার কম। ২০২১ সালের আয়ের একটি বড় অংশ এসেছে সরকারি বন্ড বিক্রি করে।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের পরিবারের আয়ে নামে বড় পতন। আবাসন ব্যবসায় ধস নামায় সে বছর বার্ষিক আয় ছিলো মাত্র ৯৭ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরিবারের আয় কমেছে প্রতিবছরই।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে ২০১৯ সালে অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১৮০টি দুর্নীতিপ্রবণ দেশের মধ্যে ইউক্রেনের অবস্থান ৬৪ তম। তবে গেল এক দশকে ২৮ ধাপ উন্নতি করেছে দেশটি। দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের আয়ের তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি।