দেশে প্রতিদিন প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু খনি থেকে উত্তোলন ও আমদানি করা এলএনজি দিয়ে সরবরাহ করে ঘাটতি থেকে যায়। বিশেষ করে, শীত মৌসুমে এই ঘাটতি দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়ায়।
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপার সম্ভাবনাময় জেলা ভোলা। ১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। এরপর একে একে ৩টি গ্যাসক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়।
২০০৯ সালে শাহবাজপুর থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়। আর ভোলা নর্থ থেকে এখনও উৎপাদন শুরু হয়নি। এর মধ্যে শাহবাজপুর থেকে শুধুমাত্র ভোলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে। তীব্র সংকটের এই সময়ে এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জোর পরিকল্পনার কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় পরিকল্পনা হচ্ছে, কীভাবে ভোলার গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা যায়। ইতোমধ্যে সিএনজি আকারে কিছু অংশ আমরা ভোলা থেকে নেয়া শুরু করেছি।’
জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের মাধ্যমে ভোলার গ্যাস দিয়ে বরিশাল থেকে খুলনা পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব। প্রাধান্য দেওয়া হবে এই অঞ্চলের শিল্পখাতকে। আর নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের মধ্যে এই গ্যাস বরিশাল-পটুয়াখালীতে সরবরাহ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘পটুয়াখালী থেকে গ্যাস খুলনায় নিয়ে যাবো। পায়রা দিয়ে আমাদের আর একটি গ্যাসলাইন আসবে। আর যত দ্রুত পারি, আমরা ১৮টি কূপ খনন করবো।’
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে ঢাকায় আনা শুরু হয়। যা পাইপলাইনের বাইরে থাকা তিতাসের শিল্প গ্রাহকদের পৌঁছে দেয়া হয়।