মাঘের শীতের মাঝেই জমে উঠেছে ৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। লেখক-পাঠকে মুখরিত শহরের সল্ট লেক সেন্ট্রাল পার্ক। এবারের বইমেলায় ২০টি দেশের প্রায় এক হাজার স্টল বসেছে মেলা প্রাঙ্গনে।
দেশ-বিদেশের স্টলগুলোর মাঝে বাংলাদেশের বইয়ের স্টলগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। প্রতিবারের মতো এবছরও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে থাকছে ৪৩ টি প্রকাশনা সংস্থা।
একজন পাঠক বলেন, 'হুমায়ুন আহমেদের লেখা আমার খুব ভালো লাগে। তার লেখা ও ভালোবাসার টানে বাংলাদেশ স্টলে আসা। আগেরবার এসে হুমায়ুন আহমেদের বই কিনেছি। এবার তারসাথে অন্য লেখকেরও বই কিনব।'
দর্শনার্থী বেশি থাকলেও মেলায় এখনও ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে অনলাইনের এই যুগেও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে অনেক পাঠক আসছেন বইমেলায়। কিনছেন পছন্দের লেখকের বই।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক স্টলের পাশাপাশি থাকছে খাবারের দোকান। বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের পাশাপাশি প্রবীণদের জন্য রয়েছে সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রথমবারের মতো মেলা চলাকালীন সময়ে পালিত হবে বৃক্ষরোপণ দিবস।
৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা কমিটির সভাপতি ত্রিদিব চৌধুরী বলেন, '২৫ জানুয়ারি একটা বিশেষ বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান করবো। বই ছাপতে গেলে প্রচুর গাছ কাটতে হয়। আমাদের ভাবনা নতুন করে গাছ লাগিয়ে কিছু অন্তত ফেরত দিই। '
বইমেলা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এবারের বইমেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।