দেশে এখন
0

হস্তশিল্পের পণ্যের চাহিদা বাণিজ্যমেলায়

হস্তশিল্প পণ্যে রয়েছে আলাদা ক্রেতা চাহিদা। বাঙালি ঐতিহ্য ধারণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দেশীয় এসব পণ্যে ঘর সাজাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকেই।

বছর কুড়ি আগেও কুপি ও হারিকেনের মতো সামগ্রীর নিত্য দেখা মিলতো শহরে-গ্রামে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন তা বিলুপ্তপ্রায়। তবে সেই সময়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই বাণিজ্য মেলায় দেয়া হয়েছে 'জয়িতা' স্টল। এখানে দেখা মিলছে আবহমান বাংলায় ব্যবহৃত নানা পণ্য। ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

একজন ক্রেতা বলেন, 'আমি অস্ট্রেলিয়া থাকি। আমার বাচ্চারা ওখানেই বড় হয়েছে। তারা যেন বাংলাদেশ ভুলে না যায় সেজন্য ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো কিনে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রাখি।'

এদিকে আরেক স্টলে চিনামাটি, রঙ আর নান্দনিক কারুকাজের মিশেলে তৈরি তৈজসপত্রের পসরা বসেছে। যার আকর্ষণে মোহিত ক্রেতা-দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন স্টলে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় হস্তশিল্প ও মাটির তৈরি পণ্যের স্টলে ক্রেতা সমাগম বেশ। মেলার শুরুর দিনগুলোতে ভিড় কম থাকায় আগতরা একটু সময় নিয়েই দেখতে পারছেন শিল্পীর হাতের কাজ। দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় হস্তশিল্পের পণ্য ব্যবহারের স্বস্তির কথা জানান ক্রেতারা।

একজন ক্রেতা বলেন, 'দেশি পণ্যগুলো পরিবেশবান্ধব হয়ে থাকে। এগুলো তৈরিতে পাট, বাঁশ বা বেত ব্যবহার করা হচ্ছে সেজন্য এগুলো পরিবেশবান্ধব। এগুলো বায়ু, পানি, পরিবেশ কোনোটিই দূষণ করে না।'

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাতের ছোঁয়ায় উৎপাদিত এসব সামগ্রী মানের দিকেও পিছিয়ে নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের। আর দিনে দিনে দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে হস্তশিল্পের পণ্য।

তবে, হাতে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে এখনও বেশ পিছিয়ে থাকায় আক্ষেপ উদ্যোক্তাদের। এক্ষেত্রে রপ্তানি বাড়াতে সরকারের সুদৃষ্টি চান তারা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর