এ বছর প্রতিবিঘা জমিতে মরিচ চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যেখান থেকে কৃষকরা লাখ টাকার মরিচ বিক্রির আশা করছেন। মরিচ চাষিরা বলেন, 'দুইবিঘায় এ যাবত ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বেচা হইসে। ৫০ টাকা কেজি বাজারটা থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করা যায়।'
কৃষকের খেতের মরিচ তোলার কাজ করেন নারীরা। টানাপোড়েনের সংসারে আগামী চার মাস কিছু অর্থ যোগানের সুযোগ পাওয়ায় তারা খুশি।
নারী শ্রমিকরা বলেন, 'দুপুর পর্যন্ত তুললে ১৭০ টাকা আর সারাদিনে দেয় ৩০০ টাকা। এই টাকা দিয়া আমরা সংসার চালাইতাসি। ছয়মাস বইসা থাকি আর ছয়মাস মরিচ তুলি। পোলাপানের পড়ালেখা, বাজার সদাই কইরা কোনমতে চলি।'
চরাঞ্চলের উৎপাদিত মরিচের মান ভালো হওয়ায় সারাদেশে বেশ চাহিদা। বাজার জমজমাট হওয়াতে প্রতিহাটে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় মৌসুমের চার মাসে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার মরিচ বিক্রির আশা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। তারা বলেন, 'এখানে দৈনিক ২ থেকে ৪ কোটি টাকার মরিচ বেচাকেনা হয়। বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারিরা আসেন।'
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, 'আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রথম থেকেই কৃষকরা মরিচের ভালো ফলন পেয়েছে। বাজারমূল্য বেশি থাকায় তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান।'
এবার জেলার ৭ উপজেলায় ৭ হাজার ৫শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও বেশ হয়েছে। সব ঠিক থাকালে গেল বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি লাভের টাকা বোরো মৌসুমে সহায়ক হবে বলে মনে করেন কৃষকরা।