গাজার হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি হত্যা করেও থামছে না ইসরাইলি আগ্রাসন। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মানবিক সংকট পৌঁছেছে চরমে।
এ অবস্থায় আক্রমণের লাগাম টানতে এবং যুদ্ধের টেকসই সমাপ্তির জন্য অর্থপূর্ণ আলোচনায় যুক্ত হতে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরাইল সরকার। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্ররা এবং অনেক দেশ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে ইসরাইলকে নতুন করে চিন্তা করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, এই সংঘাত এক পর্যায়ে শেষ হবে এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে হবে। যা ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ইসরাইলের জনগণের জন্য স্থায়ী নিরাপত্তার একমাত্র উপায়।'
এবার সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবও প্রকাশ্যে প্রত্যাখান করলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবেন বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের সরকার প্রধান। এজন্য জর্ডান নদীর পশ্চিমের সব ভূমির ওপর ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহু। আর এটিকে ইসরাইলের নিরাপত্তায় অপরিহার্য শর্ত বলেও দাবি করেন তিনি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের বিষয়টি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আমাদের ওপর এই বিষয়টি চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাও আটকে দিয়েছি। কারণ এটি ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষতি করবে।’
এছাড়া হামাসের ধ্বংস এবং সব ইসরাইলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। আর এতে আরও অনেক মাস সময় লাগতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে কাটিয়েছেন। তবে নেতানিয়াহুর সবশেষ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস বলছে, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করা বন্ধ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।