বিআইডব্লিউটিসি জানায় রজনীগন্ধা ফেরিটি গতরাত সোয়া ১২টার দিকে ৯টি ট্রাক নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসে। কিন্তু ঘনকুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ঘাটের ২০০ মিটার দূরে নোঙর করা হয়। ভোররাত ৪টার দিকে ফেরিটিতে পানি ঢুকতে শুরু করে। সকাল সোয়া আটটায় পুরোপুরি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রাকের চালকরা বলেন, 'রাত দেড়টার দিকে মনে হইলো ফেরির সাথে কিছু একটার ধাক্কা লাগলো। তবে কিসের সাথে লাগলো তা বলতের পারি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফেরিতে পানি জমে গেছে। আনুমানিক রাত ৪টা থেকে পানি উঠা শুরু হয়।'
এ খবরে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির ইঞ্জিন মাস্টার হামায়ুন কবির।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, 'ঘাট থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ফেরিটি ডুবে যায়। তারপরই স্থানীয় ফায়ার স্টেশন এখানে চলে আসে এবং তারা অধিকাংশ অংশই ডুবন্ত দেখতে পায়।'
চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিসি বলেন, '৬টার দিকে ফেরিটি খুব ভারী লাগছে এবং একদিকে কাত হয়ে যাচ্ছে। তখন ট্রাকগুলোও পড়ে যাচ্ছিল। ট্রাকে একটা ধাক্কাও লেগেছে। এখন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, '২০ জন উদ্ধার হয়েছে এবং একজন মিসিং আছে। উনার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফিটনেসবিহীন কোন ফেরি আমাদের এখানে চলে না। যেটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটা ২০২৩ সালের।'
এদিকে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সকালে নিজ দপ্তরে জানান, বাল্কহেডগুলোকে নিয়মে আনতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাল্কহেডগুলো অবশ্যই বিপদজনক, এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করতে নৌ-অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। তারা কাজ করছে।'
ফেরিটি পুরানো নয় বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। ২০১৪ সালে ফেরিটি তৈরি করা হয়ছে, পরে ২০২০ সালে আবার সংস্কারও করা হয়।