পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা, উন্নত জীবন ও কর্মসংস্থানের আশায় প্রতিদিনই প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন তথ্য বলছে, বিশ্বের নানা দেশে কাজ করেন দেড় কোটিরও বেশি প্রবাসী। তাদের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম দিচ্ছেন। আর বেশিরভাগেরই পছন্দের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি থেকে ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মেগা প্রকল্পসহ অবকাঠামো উন্নয়নে দেশটিতে রয়েছে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা। এবার বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগে খরচ কমানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটিতে গৃহকর্মী ভিসায় বাংলাদেশিদের যেতে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৩ হাজার ১৩৩ ডলার। আগে যেখানে খরচ হতো ৩ হাজার ৪৬৬ ডলার।
বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, কেনিয়া, ইথিওপিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে গৃহকর্মী ভিসায় যারা সৌদিতে আসতে চান তাদের জন্যও সুখবর রয়েছে। ফিলিপিন্সের নাগরিকদের ৪ হাজার ২৩৯ ডলারের পরিবর্তে ৩ হাজার ৯২০ ডলার দিতে হবে। শ্রীলঙ্কার জন্য ৪ হাজার ডলারের বিপরীতে ৩ হাজার ৬৮০ ও কেনিয়ার নাগরিকদের ফি কমেছে ৪৯৮ ডলার। উগান্ডার ৩১৯ ও ইথিওপিয়ার নাগরিকদের ২৬৭ ডলার ফি কমেছে।
সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির শ্রমবাজারের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত খরচের লাগাম টানতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শ্রমিক নিয়োগে বিভিন্ন পরিষেবা, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নে 'মুসানেদ' নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০৩৪ সালে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সৌদিতে নির্মাণ খাত, ক্লিনিং, মেনটেইনেন্স, পর্যটন খাতে আগামীতে বাড়তে পারে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।