খুচরা বাজারে দেশি চিনির চাহিদা থাকলেও সরবরাহ সংকটে দোকান মালিকরা। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন সরবরাহ না করায় নাটোরের বাজারে দেশি চিনি মিলছে না।
দেশি লাল চিনি স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় প্রতিনিয়ত নাটোরের খুচরা বাজারে ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে। বারবার চাহিদা দিয়েও মিলছে না দেশি চিনি। এতে করে ১৫০ টাকা কেজি দরেও দেশি চিনির স্বাদ নিতে পারছেন না স্থানীয় ভোক্তারা। বাধ্য হয়েই খেতে হচ্ছে সাদা চিনি।
ক্রেতারা বলেন, 'দেশি চিনি বাজারে পাচ্ছি না। এটার মান অনেক ভালো কিন্তু বাজার স্বল্পতার কারণে পাওয়া যাচ্ছে না।’
নাটোরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত ডিলার রয়েছেন ১০ জন। এসব ডিলারকে বার্ষিক ৫০০ কেজি দেশি চিনি বরাদ্দ দেওয়ার কথা কর্পোরেশনের। কিন্তু নিয়মিত দেশি চিনির চাহিদা দিলেও মিলছে মাত্র ১ শতাংশ। এতে অনেকেই প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন ডিলারশিপ।
দেশে সরকারি ১৫টি চিনি কল থাকলেও বর্তমানে চালু রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে নাটোরে দুটি চিনিকল রয়েছে। যাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১২ হাজার টন। কিন্তু উৎপাদনের ৯০ শতাংশই বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রেশনিংয়ে চলে যায়। বাকি ১০ শতাংশ ডিলারদের মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পৌছায় বিএসএফআইসি। উৎপাদন সংকট থাকায় ডিলারদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ কর্পোরেশন।
ক্যাবের সভাপতি শামীমা লাইজু নীলা বলেন, 'মিলগুলো যেহেতু উৎপাদন বাড়াচ্ছে না। সেহেতু ভোক্তাদের চাহিদা মিটছে না। এক্ষেত্রে মিলগুলো যদি চাহিদা বাড়ায় তাহলে ভোক্তার চাহিদা পূরণ হবে।'
বর্তমানে দেশে মোট চিনির চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। কিন্তু সেখানে দেশিয় চিনিকলে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২৬ হাজার টন। বাকি চাহিদা পূরণ হয় আমদানি করা চিনি দিয়ে। তবে দেশীয় চিনিকলগুলোর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কমে আসবে আমদানি নির্ভরতা।