বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে আবারো নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।
ঘন কুয়াশা আর উত্তরের কনকনে হিমেল বাতাসে কাহিল সেখানকার জনজীবন। পথঘাটে কমেছে যান চলাচল। বিপাকে শ্রমজীবী মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় কষ্টে অনেক পরিবার।
স্থানীয়রা বলেন, শীতের কারণে ঢাকা থেকে লোকজন আসা কমে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষজন বের হয় না।
একই অবস্থা কুড়িগ্রামেও। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গতি কমিয়ে চলছে যানবাহন। রাস্তায় যাত্রী না থাকায় আয় কমেছে ছোট ছোট যানবাহনের।
হাড়কাঁপানো শীতে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই জেলা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। তীব্র ঠান্ডায় জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন। আগামী সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহেরও পূর্বাভাস দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক।
দরিদ্ররা বলেন, 'আমরা শীতে খুব কষ্ট ভোগ করছি। কেউ শীতের কম্বল-জামাকাপড় দেয়নি। কাজ কাম নাই।'
মেহেরপুরে শীতের কারণে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা-কাশি ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। শীতের এই সময়টায় শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সাবধানে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
শীতে সীমাহীন দুর্ভোগে মৌলভীবাজারের বোরো চাষি ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। দিনের বেলায়ও আগুন পোহাতে দেখা গেছে। চা শ্রমিকসহ দিন মজুরেরা ঠান্ডার কারণে কাজে যোগদানে দেরি হচ্ছে। এতে হাজিরার টাকা হারাতে হচ্ছে অনেককে। গবাদি পশুকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে কাপড় বা বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখছেন কেউ কেউ।
শ্রমজীবীরা বলেন, 'সারাদিন সূর্য দেখা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায়। ঠান্ডার লাইগা বাড়ি থাইক্কা বাইর হইতাম পারি না।'
এদিকে মাগুরায় শীতের কারণে বাজারে কমেছে মাছের সরবরাহ। ফলে বেড়েছে দাম। নড়াইল, সিলেটসহ বিভিন্ন বিল অধ্যুষিত জেলা থেকে দেশি মাছ বাজারে আসলেও তা পরিমাণে খুবই কম।