চারশ' কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকাল ৩টায়। অনলাইনে টিকিট পেতে কিছুটা জটিলতা থাকলেও ট্রেন ছেড়ার শেষ হুইসেল যেন ভুলিয়ে দেয় সব ভোগান্তি। যাত্রীরা বলেন, 'টিকিট পাওয়াই যাচ্ছিল না খুব ভিড় ছিল। ট্রেনের জন্য এতো বছর অপেক্ষা করলাম। ট্রেন জার্নি অনেক আরামদায়ক তাই যাচ্ছি। এটা নিয়মিত থাকলে সবাই উপভোগ করতে পারবে।'
কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে গেল বছরের পহেলা ডিসেম্বর থেকে। এর মাঝেই সারাদেশে ঘটেছে বেশকিছু নাশকতা ও দুর্ঘটনা। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে রেলপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রতিবার ট্রেন চলাচলের আগে অতিরিক্ত একটি ইঞ্জিন বগির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে রেল লাইন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, 'বর্তমানে যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। সেটা যাওয়ার আগে এবং পরে আমরা শুধু একটা ইঞ্জিন চালাচ্ছি। একইসাথে রেল লাইনে পাহাড়াদার, আনসার ও পুলিশ আছে।'
১৬টি কোচ নিয়ে পর্যটক এক্সপ্রেসের কক্সবাজার পৌঁছতে সময় লাগবে সোয়া ৯ ঘণ্টা। কমলাপুর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নন এসি শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি স্নিগ্ধা'র ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।