এখন ভোট
0

স্বতন্ত্ররা না হলে জাপাই হবে বিরোধী দল?

কাল নতুন সংসদ সদস্যদের শপথের পর, বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেবেন নতুন সরকারের মন্ত্রিরা। তবে এখন প্রশ্ন, কারা থাকছে সংসদের বিরোধী আসনে?

টানা ৪ বার নির্বাচন জয়ের পর ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে যখন সরকার গঠনের প্রস্তুতি, তখন রাজনীতির মাঠে আলোচনা যুগিয়েছে, এবার কে হচ্ছেন বিরোধী দলীয় নেতা ?

বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মহাজোটের শরিক এবং একাদশ সংসদের বিরোধী দল, জাতীয় পার্টির এবারের নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর বেশ জোর পাচ্ছে এই আলোচনা। কারণ ২০১৮ এর নির্বাচনে দলটি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ২৩ আসন বাগাতে পারলেও এবারে পেয়েছে মাত্র ১১টি। যা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্যদের সংখ্যার ৫ ভাগের এক ভাগ।

তাই প্রশ্ন এসেছে, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত এমপিরাই কি হচ্ছেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দল? তবে এটি কতটা সম্ভব?

Leader and Deputy Leader of the Opposition Ordinance, 1979 কে রহিত করে বিরোধীদলের নেতা এবং উপনেতা আইন ২০২১ এ বিরোধী দলের নেতা বা উপনেতা কে হবেন তার ব্যাখ্যা দেয়া আছে।

এই আইনের ২ নম্বর ধারার "খ" উপধারায় বলা হয়েছে, "বিরোধীদলের নেতা" অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য, সংসদে সরকারি দলের বিরোধীতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা।

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ মনে করেন, এই আইন অনুসারেই, নতুন সংসদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নতুন দল গঠন করে, বা কোন একটি দলে যোগ দিয়ে বিরোধী দল হতে পারে। আর দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ঐ দলের নেতাই হতে পারেন বিরোধী দলীয় নেতা।

এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, বুধবারই শপথ অনুষ্ঠান হচ্ছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের। সবকিছু ঠিক থাকলে তার পরদিনই নতুন মন্ত্রিসভা বা নতুন সরকারের শপথ। তাই খুব বেশি অপেক্ষা থাকবে না, নতুন বিরোধী দলীয় নেতা কে হচ্ছেন, সেটি জানতে।

এ নিয়ে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, স্বতন্ত্র এমপিরা নতুন করে কোন দল গঠন না করলে, আবারও জাতীয় পার্টি হবে নতুন সংসদের বিরোধী দল।

এরইমধ্যে দ্বাদশ সংসদে নির্বাচিতদের নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।