ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা!

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইরানের কাছ থেকেও স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করছে মস্কো। এমন তথ্য সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলা-পাল্টা হামলায় নতুন বছরের শুরুতেই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ উত্তেজনা বেড়েছে কয়েকগুণ। রুশ শহর বেলগোরোদে হামলার জেরে ইউক্রেনে চলমান অভিযান আরও জোরালো করেছে মস্কো। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার লক্ষবস্তু হয়ে উঠেছে খারকিভ, খেরসন, মাইকোলাইভ, জাপোরিজঝিয়া, দোনেৎস্কসহ কয়েকটি অঞ্চল। বিধ্বস্ত অসংখ্য আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্যাসলাইন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে দাবি- উত্তর কোরিয়ার দেয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করছে রুশ বাহিনী। এরমধ্যে ৩০ ডিসেম্বর ও ২ জানুয়ারি একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি হোয়াইট হাউজের।

বিনিময়ে মস্কোর কাছ থেকে অস্ত্র তৈরির উন্নত প্রযুক্তি পেতে চাইছে পিয়ংইয়ং। অন্যদিকে ইরানের কাছ থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে রাশিয়া আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপন করার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে অস্ত্র হস্তান্তরে যারা কাজ করছে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, 'ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৫৫০ মাইল দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এ অস্ত্র সহযোগিতার বিনিময়ে রাশিয়া থেকে বিমানসহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সরঞ্জাম এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি পেতে চায় উত্তর কোরিয়া।'

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করলে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। নতুন এই ফরমান অনুযায়ী বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবার রুশ নাগরিকত্ব পাবেন।

এদিকে রুশ বাহিনীর ভয়াবহ হামলা মোকাবিলার বিষয়ে ১০ জানুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ন্যাটো। ইউক্রেনের অনুরোধে এই আলোচনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ন্যাটোর মুখপাত্র ডিলান হোয়াইট।