দেশে এখন
অর্থনীতি
0

এখনও ঠিক হয়নি বাণিজ্য মেলার দিনক্ষণ

২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার দিনক্ষণ ঠিক না হওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। জায়গা বরাদ্দ পেলেও স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন অনেকে। এবার স্টল ও প্যাভিলিয়ন না বাড়লেও কমেছে বিদেশিদের অংশগ্রহণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলার সময় সুনির্দিষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তবে যেদিন শুরু হবে সেদিন থেকে পরের এক মাস বাণিজ্য মেলা চলবে।

গত দুই বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু কন্ট্রোল রুমের নিরবতা আর ফাঁকা হলরুম জানান দিচ্ছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাগত জানাতে এখনও মেলার নির্ধারিত স্থান প্রস্তুত হয়নি।

সাধারণত ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও এবার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও তেমন বড় ধরনের কর্মযজ্ঞের দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের যে বড় দুটি হলরুম রয়েছে সেখানেও স্টল বা প্যাভিলিয়ন তৈরির তৎপরতা চোখে পড়েনি।


যদিও মেলার জন্য ইতোমধ্যে স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ শেষ করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইপিবি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছে। জাতীয় নিবার্চনের পর স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ করবেন তারা।

মেলায় এবার ৯ ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ৭২টি, ২৩০টি স্টল আর ৩০টি রেঁস্তোরা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেখানে একেকটি প্যাভিলিয়ন পেতে উদ্যোক্তাদের ১১ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে। স্টলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর রেঁস্তোরা নিতে ব্যবসায়ীদের ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে। এছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস বুথের পাশাপাশি মেলায় ৭টি এটিএম বুথ বসবে। যার প্রতিটির জন্য গুণতে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

ইপিবি’র সচিব বিবেক সরকার বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন হবে তা অনিশ্চিত। আর মেলা কবে হবে এটি এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা আশাবাদী।’

মেলায় বিদেশিদের জন্য ১৫টি প্যাভিলিয়ন থাকবে, যার বরাদ্দ মূল্য ৭ হাজার থেকে ১৯ হাজার মার্কিন ডলার। সিঙ্গাপুর, হংকং,তুর্কিয়েসহ ১০টি দেশের অংশগ্রহণের কথা ইপিবি জানালেও সেই সংখ্যা কমতে পারে। ৫ বছর আগেও মেলায় ১৭টি দেশের ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। কারণ হিসেবে আবাসন সমস্যাকেই দায়ী করেন ইপিবি সচিব।