হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে জমে উঠেছে নির্বাচনের প্রচার। তরুণ ভোটারদের প্রত্যাশা, দূর হবে বেকার সমস্যা। এছাড়া শিল্পায়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করবে এমন জনপ্রতিনিধি চান সুনামগঞ্জের ২৬ লাখ ভোটার।
৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গড়ে উঠা হাওরের জনপদ সুনামগঞ্জের আয়তন ৩৭৪৭.৮ বর্গকিলোমিটার। যেখানে কৃষিকাজ আর মাছ শিকারে সকাল থেকে ছুটে বেড়ান এই অঞ্চলের মানুষ। তারপর এ জনপদের মানুষের ভাগ্যবদল যেন রূপকথার গল্পের মতো অধরাই থেকে যাচ্ছে।
প্রতি বছর এখানে ধান, মাছ আর সবজির উৎপাদন বাড়লেও জীবনমানের নেই তেমন কোন পরিবর্তন। প্রান্তিক পর্যায়ে দিন দিন বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যাও।
স্থানীয়রা বলেন, ‘জেলার হাওরের বাঁধ স্থায়ী মেরামতের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। আমরা চাই সুনামগঞ্জের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন তাকে ভোট দেয়ার। আমাদের প্রত্যাশা আগামীর সরকার হবে শিল্পবান্ধব।’
এবারের নির্বাচনে সুনামগঞ্জে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৯ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৭ জন। আগামী নির্বাচনে বেকার সমস্যা দূর, শিল্পকারখানা নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবার দিকে যে নজর দিবে এমন প্রতিনিধির প্রত্যাশা হাওরবেষ্ঠিত এই অঞ্চলের ভোটারদের।
তবে প্রার্থীরাও সব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘বেকার তরুণদের জন্য হাওরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকা দরকার, যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে তরুণরা।'
সুনামগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার সমস্যাগুলো আগে সমাধান করার চেষ্টা করবো।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৯ জন প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২ জন ব্যবসায়ী।