রুশ বার্তাসংস্থা আরটির এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে। ২০২৩ সালে যুদ্ধময় বিশ্ব তৈরি করে রাখায় এ পরিনতি দেখতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রকে।
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল- বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এসব জায়গায় অশান্তি পাকিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সাল জুড়েই বিশ্বজুড়ে ছিলো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। আর এতে ঘি ঢেলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরটি'র প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন ও হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ বাঁধিয়ে পৃথিবীতে অশান্তি তৈরি করেছে আমেরিকা। এরমধ্যে আবার চীন-তাইওয়ান সংকটেও আগুনে ঘি ঢালছে বাইডেন প্রশাসন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এতো অশান্তি কখনও দেখেনি বিশ্ববাসী। আর এরজন্য যুক্তরাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক রাজনীতিকীকরণকেই দায়ী করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে রাশিয়া ও চীনের পুনরুত্থানের পর কমতে শুরু করেছে মার্কিন আধিপত্য। আর ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করায় তলানিতে ঠেকেছে আমেরিকার জনপ্রিয়তা।
অবশ্য যুদ্ধ ছাড়া কোন শাসনেরই অবসান ঘটে না। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করে আমেরিকার কাছে ক্ষমতার কাঠি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ব্রিটেন। একইভাবে হয়ত আধুনিক এই সময়ে এসে যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমেরিকারও ক্ষমতার পতন হতে যাচ্ছে। যার প্রতিফলন মেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেই। ২০২২ সালে শুরু হওয়া দু'দেশের এ যুদ্ধে শুরুতে ইউক্রেনের অবস্থান কিছুটা শক্ত থাকলেও এ পর্যায়ে এসে একেবারেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছে কিয়েভ। আমেরিকার কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা না পাওয়ায় পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
বিপরীত দিকে, ব্যাটলফিল্ডে সুবিধাজনক অবস্থানে রাশিয়ার সেনারা। আর ইউক্রেনের পরাজয় এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যেও সুবিধা করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে একটু একটু করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার শুরু করলেও, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে আমেরিকার জন্য। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে আমেরিকাবিরোধী কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হয়েছে।
এদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক রয়েছে চরমে। আর দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ইন্ধন দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
২০২৩ সালে চলা সংঘাতের ফলাফল আসতে পারে ২০২৪ সালেই। তাহলে বলাই যায়, কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।